লেকটাউনে হনুমান মন্দির থেকে চুরি লক্ষাধিক টাকার গয়না, গ্রেপ্তার তিন
বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: রাতের অন্ধকারে হনুমান মন্দির ফাঁকা, দরজা খোলা। সেই সুযোগে মন্দিরের ভিতরে ঢুকে প্রায় লক্ষাধিক টাকার রুপোর গয়না চুরি করেছিল জনাকয়েক দুষ্কৃতী। ২৬ আগস্ট লেকটাউন থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল। তদন্ত শুরুর পর পুলিস এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এখনও একজন পলাতক।
২৭ আগস্ট মন্দির কমিটি চুরির অভিযোগ জানায় লেকটাউন থানায়। মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে পুলিস। লেকটাউন থানা ও বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগের তরফে দু’টি পৃথক টিম তৈরি করে কমিশনারেট। মন্দিরে দু’টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। পুলিস সেই ক্যামেরার এবং ওই এলাকায় থাকা অন্য ক্যামেরার ফুটেজ দেখে। প্রাথমিকভাবে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে চিহ্নিত করে। গোয়েন্দা বিভাগের টিমটি অভিযুক্তদের গতিবিধির উপর নজর রাখা শুরু করে। তদন্তের জন্য ডিজিট্যাল প্রযুক্তির সাহায্য নেয়। ঘটনাস্থলের টাওয়ার ডাম্প নেয়। সেখান থেকে একটি মোবাইল নম্বর পান তদন্তকারীরা। সেটির লোকেশন লাগাতার ট্র্যাক করা শুরু করেন গোয়েন্দারা।
বিধাননগর কমিশনারেট জানিয়েছে, মোবাইলটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফের কাছে গিয়ে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এরপর গোপন সূত্র মারফত পুলিস জানতে পারে, অভিযুক্তরা ভাঙড়ের চন্দনেশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা। সেখানে হানা দেন তদন্তকারীরা। সিসি ক্যামেরায় আগেই দেখতে পাওয়া দুই অভিযুক্তের সন্ধান মেলে সেখানে। বাপন মাঝি ও পরাণ সর্দার নাম তাদের। এরপর পুলিস তাদের গ্রেপ্তার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের সন্ধান মেলে। তাকেও পাকড়াও করে পুলিস। তার নাম সোনাই দাস, সোনারপুরের বাসিন্দা। পুলিস সূত্রে খবর, আরও একজন চুরির ঘটনায় জড়িত। তার সন্ধান এখনও মেলেনি। খোঁজ চলছে। কেন্দ্রীয় পোর্টাল থেকে পুলিস জানতে পেরেছে, অভিযুক্তরা ‘দাগী’ অপরাধী। আগেও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় চুরি করেছে। জেলেও গিয়েছে। সম্প্রতি ছাড়া পেয়ে লেকটাউনের হনুমান মন্দিরে চুরি করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতরা জানিয়েছে, চুরির কোনও পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। রাতে মন্দির ফাঁকা দেখে ঢুকে গয়না চুরি করেছে।