• নাবালক পুত্রকে জড়িয়ে কেঁদে ফেললেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ, ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজত
    বর্তমান | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে শনিবার ফের কলকাতার ইডির বিশেষ আদালতে তোলা হয়। সেখানে হাজির ছিলেন বিধায়কের স্ত্রী টগরি সাহা। সঙ্গে ছিল তাঁদের নাবালক পুত্র। এক সময় এজলাসেই নাবালক পুত্রকে জড়িয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেলেন এই বিধায়ক। কেঁদে ফেলেন তাঁর স্ত্রীও। জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী আদালতে বলেন, আমার মক্কেল একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি তদন্তে সবরকমভাবে সহযোগিতা করবেন। তাঁকে যে কোনও শর্তে জামিন দেওয়া হোক। যদিও ইডির আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, ইতিমধ্যে এই মামলায় বেশ কিছু তথ্য‑প্রমাণ মিলেছে। এরপরই তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত  কেস‑ডায়েরি আদালতে পেশ করা হয়। অন্যদিকে, কিছু নথি আদালতে পেশ করেন তদন্তকারী অফিসারও। ইডির তরফে ফের অভিযুক্তকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানানো হয়। যদিও আদালত তা বাতিল করে দিয়ে তাঁকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। জীবনকৃষ্ণের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে অহেতুক ফাঁসানো হয়েছে। যাঁরা মূল অভিযুক্ত, তাঁরা জামিনে আছেন। তাঁর মক্কেল মামলায় সবরকমভাবে সহযোগিতা করছেন। তাহলে কেন তিনি হাজতবাসে কাটাবেন? প্রসঙ্গত, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই অভিযুক্তকে সিবিআই গ্রেপ্তার করেছিল। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনি জামিন পেয়েছিলেন। এবার ইডির হেফাজত থেকে তিনি জেলে গেলেন। এদিন বড়ঞার এই বিধায়ক সাংবাদিকদের বলেন,‘ তিনি ব্যবসায়ী পরিবারের ছেলে। তাঁদের টার্নওভারও বেশ ভালো। তারপরও তাঁর বাবা কেন তাঁর সম্পর্কে নানা আপত্তিকর কথা বলছেন, তা তিনি জানেন না।’ তবে তিনি বলেন, ‘বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সুমধুর।’ ইডি’র তরফে এদিন ফের আদালতে দাবি করা হয়, জীবনকৃষ্ণের একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বেআইনি লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এমনকী তাঁর পরিচিতদের অ্যাকাউন্টেও যে বেআইনি লেনদেন হয়েছে, সেই তথ্যও মিলেছে।
  • Link to this news (বর্তমান)