নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বিধানসভা নির্বাচনের মুখে বাংলায় ইডির অতিসক্রিয়তা অব্যাহত। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেপ্তার হওয়ার পর এবার বিপাকে অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা। তবে নিয়োগ দুর্নীতি নয়, অবৈধ বেটিং অ্যাপের প্রচার করায় অঙ্কুশকে সমন পাঠিয়েছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দিল্লিতে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
এজেন্সি সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ভারতের একটি অবৈধ বেটিং অ্যাপের প্রচার ও বিজ্ঞাপনের কাজে যুক্ত ছিলেন অঙ্কুশ। এ জন্যই তাঁকে তলব করা হয়েছে তদন্তকারী সংস্থার তরফে। সূত্রের খবর, কীভাবে অঙ্কুশের সঙ্গে ওই অ্যাপের কর্মকর্তারা যোগাযোগ করেছিলেন, অ্যাপ প্রচারের জন্য অঙ্কুশের সঙ্গে কত টাকার চুক্তি হয়েছিল, কীভাবে লেনদেন হয়েছিল— এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হতে পারে অভিনেতার কাছে। তাঁকে ব্যাঙ্কের নথি নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে একাধিকবার অভিনেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তাঁর ফোন বেজে গিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেরও জবাব দেননি তিনি।
অনলাইন গেমের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন সদ্য নিষিদ্ধ হয়েছে দেশে। আইনে পরিণত হয়েছে ‘প্রোমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল’। এর ফলে বেআইনি বেটিং অ্যাপ ও অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে রোজগারের রমরমা কমবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশিষ্টরা এই ধরনের অ্যাপের প্রচার করতেন বলে বহু সাধারণ মানুষ এর মাধ্যমে প্রতারিত হয়েছেন। এই অভিযোগ নতুন নয়। এর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এর আগে একাধিক বলিউড ও দক্ষিণী তারকারা কেন্দ্রীয় সংস্থার সমন পেয়েছেন। গত মাসে ২৯ জন তারকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল ইডি। সেই তালিকায় ছিলেন বিজয় দেবেরাকোন্ডা, রানা দগ্গুবতী, প্রকাশ রাজ সহ আরও অনেকে। চলতি মাসে বেটিং অ্যাপ মামলায় জেরা করা হয়েছে ক্রিকেটার সুরেশ রায়নাকে। এর আগে দেব, বনির মতো টলি পাড়ার প্রথম সারির অভিনেতাকে তলব করেছিল ইডি। তবে সেগুলি ভিন্ন মামলায়। এই প্রথম বাংলার কোনও অভিনেতাকে বেটিং অ্যাপ প্রচারের মামলায় তলব করল কেন্দ্রীয় সংস্থা। ফলে ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে বিস্তর জল্পনা শুরু হয়েছে।