বিয়ের পাকা কথা বলতে বাড়িতে নিমন্ত্রণ, হবু শ্বশুরবাড়িতে পা দিয়েই শেষ হয়ে গেল তরুণ, রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটাল শ্বশুর ...
আজকাল | ৩১ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিয়ের কথা বলতে মেয়ের পছন্দের ছেলেকে বাড়িতে ডেকেছিল পরিবার। নিমন্ত্রণ করে জানিয়েছিল, বিয়ের জন্য জরুরি কথাবার্তা সারা হবে মেয়ের বাড়িতে। সেই ডাকে ছুটে গিয়েছিলেন ২৬ বছরের তরুণ। কিন্তু বাড়িতে পা রাখা মাত্রই তাঁর উপরে শুরু হয় হামলা। বিয়ের কথা বলা তো দূর অস্ত, মেয়ের পরিবার তরুণকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ জুলাই। মহারাষ্ট্র পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুনের কাছে পিমপ্রি ছিঞ্চয়াড় এলাকায় সাঙ্গভি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মৃত তরুণের নাম, রামেশ্বর ঘেনঘাট। পুলিশ আধিকারিক জিতেন্দ্র কোলি জানিয়েছেন, তরুণকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের তালিকায় তরুণীর বাবাও রয়েছে। আরও দুজন অভিযুক্ত এখনও পর্যন্ত পলাতক। তাদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। সকলের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে।
জানা গেছে, রামেশ্বরের এক আত্মীয়ের সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। যে সম্পর্কে আপত্তি ছিল তরুণীর পরিবারের। এমনকী তাঁদের বিয়ের জন্যেও রাজি ছিলেন না কেউ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জেরে মামলা রুজু করা হয়েছিল রামেশ্বরের বিরুদ্ধে। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাও ছিল। পকসো ধারাতেও মামলা ছিল তাঁর বিরুদ্ধে। পরিবারের আপত্তি সত্ত্বেও রামেশ্বর ও তরণী বিয়ে করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল।
এরপরই রামেশ্বরকে ডেকে বিয়ের বিষয়ে আলোচনা করতে চেয়েছিল তরুণীর পরিবার। এদিকে নিজের পরিবারকে সঙ্গে নিয়েই তরুণীর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন রামেশ্বর। বিয়ের আলোচনা শুরুর কিছুক্ষণ পরেই দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। তখনই তরুণীর বাবা ও আরও কয়েকজন রামেশ্বরকে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেন। বেধড়ক পিটিয়ে তরুণকে খুন করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তাঁকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুন মাসে বিয়ের ঝামেলা ঘিরে মেয়েকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল বাবা। ভিন জাতের যুবকের সঙ্গে মেয়ের প্রেম। তা ঘিরেই পারিবারিক অশান্তি চরমে উঠেছিল। শেষমেশ মেয়েকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে খুন করে বাবা। ঘাতক বাবাকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছিল প্রেম নগর এলাকায়। তরুণীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে কানঝাওয়ালা এলাকার কাছে একটি মাঠ থেকে। হাসপাতালে তরুণীকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার তদন্ত শুরুর পর এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তাতেই দেখা যায়, তরুণীকে ট্যাক্সি করে এনে মাঠে ফেলে রেখে চলে যায় কেউ। ট্যাক্সি চালককে আটক করে জেরা করে পুলিশ। ট্যাক্সি চালক জানান, তরুণীর বাবাই মৃতদেহ মাঠে ফেলে রেখে চলে যায়।
এরপরই ঘাতক বাবাকে আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের সময় খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়। জানায়, মেয়ে ভিন জাতের প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। যাতে তার মত ছিল না। তার পছন্দের পাত্রের সঙ্গে বিয়েতে রাজি হচ্ছিলেন না মেয়ে। যা নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত। রাগের মাথায় মেয়েকে কাচ কাটার যন্ত্র দিয়ে খুন করে সে। এরপর দেহটি ট্যাক্সিতে নিয়ে মাঠে ছুড়ে ফেলে চলে যায়।