বেনজির, সরকারি আবাসনের জন্য আবেদন করেও ‘ভাড়াবাড়ি’তে থাকতে হবে ধনকড়কে!
প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন বিধায়ক, প্রাক্তন সাংসদ, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, প্রাক্তন রাজ্যপাল, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। জগদীপ ধনকড়ের নামের পাশে এতগুলি বিশেষণ বসানো যায়। অথচ এ হেন ব্যক্তিত্বকে কিনা শেষমেশ থাকতে হতে পারে ভাড়াবাড়িতে! কারণ সরকার তাঁর জন্য যে বাড়ি বরাদ্দ করেছে, সেই বাড়িটি এখনও দখল করে রেখেছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী!
বিষয়টা কী? নিয়ম অনুযায়ী, দু’বছরের বেশি সময় দায়িত্ব সামলানোর পর যদি উপরাষ্ট্রপতি ইস্তফা দেন তাহলে তাঁকে অবসরপ্রাপ্ত উপরাষ্ট্রপতিদের মতোই সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়। সেই নিয়মে ইস্তফার পরও টাইপ এইট বাংলো পাওয়ার কথা ধনকড়ের। সমস্যা হল, ইস্তফার পর দীর্ঘদিন সরকারি বাংলোর জন্য আবেদনই করেননি প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি যতদিনে আবেদন করলেন ততদিনে বড্ড দেরি হয়ে গিয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, ধনকড়ের জন্য লুটিয়েন্স দিল্লিতে ৩৪ নম্বর এপিজে আবদুল কালাম মার্গের একটি টাইপ এইট বাংলো বরাদ্দ করা হয়েছে বটে, কিন্তু সেই বাড়িতে আবার এখন বাস করছেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। ওই বাড়িটি তাঁর ছেড়ে দেওয়ার কথা।
সমস্যা হল ওই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখন বাড়ি ছাড়লেও সেটিকে সংস্কার করতে হবে। উপরাষ্ট্রপতির বসবাসের উপযুক্ত করতে হবে। নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। সেসব করতে কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ত দপ্তরের অন্তত ২-৪ মাস সময় লাগবে। সমস্যা হল জগদীপ ধনকড়কে উপরাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন ফাঁকা করতে হবে ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই। কারণ ওইদিনই উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন। এখন ধনকড়ের হাতে অন্য উপায় নেই। তাঁকে উপরাষ্ট্রপতি ভবন ফাঁকা করে হয় অস্থায়ীভাবে ছোট কোনও সরকারি বাংলোয় থাকতে হবে। নাহলে বেসরকারি কোনও ভাড়াবাড়িতে থাকতে হবে। সূত্রের খবর, প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি এক-দু’মাসের জন্য দিল্লির ছাত্তারপুরের এক ভাড়াবাড়িতে ওঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
যা কিনা বেনজির। এর আগে উপরাষ্ট্রপতি পদমর্যাদার কোনও ব্যক্তিকে এভাবে বেসরকারি বা ভাড়াবাড়িতে থাকতে হয়নি। যদিও কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক সূত্র বলছে, এই বিষয়টি পুরোটাই হয়েছে পদ্ধতিগত কারণে। এর নেপথ্যে কোনও রাজনীতি নেই। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে এসবের মধ্যে আবার ধনকড় প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে প্রাপ্য পেনশনের জন্য আবেদন করেছেন।