হাতছাড়া কাঁথি আর শিলিগুড়ি নিয়ে দলের দুই সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সতর্ক করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে নাজেহাল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব জানিয়ে দিয়েছেন, বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিক কাজকর্মে আমূল বদল আনতে হবে। কারও অভিযোগ থাকলে সরাসরি তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলতে বলা হয়েছে।
দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শিলিগুড়ির চারটি বিধানসভা কেন্দ্রেই তৃণমূলের হার খারাপ। গত বিধানসভা ভোটের সময় থেকেই বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও বিশৃঙ্খলাও বারবার আলোচনা হয়েছে। সেই সূত্রেই পঞ্চায়েতে অনাস্থা ও পুর- পরিচালনায় বিবাদের কথাও আসে।
বিধানসভা ভোটের আগে সে সব সরিয়ে রেখে শনিবার জেলাওয়াড়ি বৈছকে সাধারণ পরামর্শ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। পরে অভিষেকও বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ব্লক ও টাউন কমিটির সংখ্যা বাড়িয়ে সাংগঠনিক সক্রিয়তা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে শিলিগুড়ির নেতাদের। শিলিগুড়ি কর্পোরেশনের মেয়র তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব ছাড়াও পুরসভা ও দলের একাধিক পদাধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত কাঁথির বৈঠকে ঝগড়া নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে দুই নেতা অখিল গিরি ও উত্তম অধিকারীকে। অপসারিত মন্ত্রী অখিলের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়ে স্পষ্ট ক্ষোভ জানিয়েছেন বক্সী। বৈঠকে মুখোমুখি সে প্রসঙ্গ উঠলে অভিষেক জানিয়ে দেন, এ নিয়ে তাঁদের উত্তেজনার কোনও কারণ নেই। দলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির নির্বাচনী প্রস্তুতির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠক নিয়ে অবশ্য কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর মন্তব্য, ‘‘চোর ভাইপোর কাজ হচ্ছে জেলা পরিষদ থেকে ঠিকমতো ভাগ আসছে কিনা, দিঘা থেকে, হলদিয়া থেকে ভাগ আসছে কিনা দেখে নেওয়া। ও এরকম মিটিং রোজ করে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে ১৬টা বিধানসভা আসনের ১৬টাতেই বিজেপি জিতবে। এটা আমার দায়িত্ব।’’
জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘ঘুমের মধ্যেও অভিষেককে দেখছেন শুভেন্দু। আগের বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের ফল মনে করে আতঙ্কে ভুগছেন।’’