জেলায় জেলায় চলছে 'আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান' ও 'দুয়ারে সরকার' শিবির। তার জেরে লাটে উঠছে স্কুলের পঠন পাঠন। এমনই অভিযোগ উঠছে জেলায় বিভিন্ন প্রান্তে। শনিবার তমলুকের পদুমবসানে এবং ঝাড়গ্রাম পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে কার্যত স্কুল বন্ধ করেই চলল শিবির। কোথাও আগাম খবর না থাকায় স্কুলে এসে ফিরে গেল পড়ুয়ারা। আবার কোথাও শিবিরের উদ্বোধনী সঙ্গীত গাইয়ে ছুটি দিয়ে দেওয়া হলো স্কুল।
শনিবার অর্ধদিবস স্কুল বন্ধ। প্রায় অধিকাংশ স্কুলেই এই শনিবার দিনই বসছে সরকারি শিবির। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পদুমবসান রত্নেশ্বর রামপ্রসাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবার বসেছিল দুই শিবির। দেখা গেল সেখানে শিবিরের উদ্বোধনী সঙ্গীত গাইছে পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। স্কুল হবে না? জিজ্ঞাসা করতে প্রধান শিক্ষক জানালেন, সকাল সাতটা থেকে ন'টা পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তাই শিবির হলে পড়াশোনায় কোনও ক্ষতি হবে না। যদিও সত্যিই পরীক্ষা হয়েছে কি না তা নিয়ে কোনও অভিভাবক মন্তব্য করতে চাননি।
অন্য দিকে ঝাড়গ্রাম পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ে ২০৮ ও ২০৯ নাম্বার বুথ নিয়ে এবং ঝাড়গ্রাম ননীবালা বিদ্যালয়ে ২১২ ও ১৩ নাম্বার বুথ নিয়ে সমাধান শিবির করা হয়। সে জন্য স্কুলে পঠন-পাঠন বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। ননীবালা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা অরুন্ধতী সেন বলেন, 'মেয়েদের স্কুলে সরকারি শিবির আয়োজিত হয়েছে।
সেখানে বহু মানুষের আনাগোনা হবে। তাই স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছিল।' ঝাড়গ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান কবিতা ঘোষ বলেন, 'যে সমস্ত ওয়ার্ডে কমিউনিটি হল রয়েছে আমরা সেখানেই শিবিরের আয়োজন করছি। একটি সরকারি শিবির কোনও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তো করা সম্ভব নয়। বাধ্য হয়ে স্কুলে শিবির করতে হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে শিবির করা হয়।'