• ওদের জন্যই জগত জোড়া খ্যাতি! শীর্ষ আদালতের বিচারক ভরা সভায় যাদের কথা বললেন, মন্তব্যে তুমুল হইচই
    আজকাল | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিক্রম নাথ। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, তিনি জানিয়েছেন, পথকুকুরদের জন্য জগত জোড়া খ্যাতি হয়েছে তাঁর। শনিবার তিরুবন্তপুরমের এক সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি সেখানে বলেন, পথকুকুরদের মামলা তাঁকে জগতজোড়া খ্যাতি এনে দিয়েছে। সমস্ত পথকুকুরদের আশীর্বাদ পাচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি। 

    কেরলের তিরুবনন্তপুরমে জাতীয় আইন পরিষেবা কর্তৃপক্ষ (NALSA) কর্তৃক আয়োজিত মানব-বন্যপ্রাণী সংঘাতের উপর একটি আঞ্চলিক সম্মেলনে বক্তৃতা দিতে গিয়ে বিচারপতি নাথ বলেন, তিনি ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের কাছে মামলাটি তাঁকে দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞ। 

    তিনি বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে, আমি আমার অদ্ভুত কাজের জন্য আইনি মহলে পরিচিত, তবে আমি পথকুকুরদের কাছেও কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে কেবল এই দেশেই নয়, সারা বিশ্বের সমগ্র নাগরিক সমাজে স্বীকৃতি দিয়েছে।'

     ১১ আগস্ট পথ কুকুর মামলায় শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয় দিল্লি-এনসিআরের সব পথ কুকুরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে নিতে হবে বাধ্যতামূলক ভাবে। এমনকি, এই কার্যক্রমে বাধা দিলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের। উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে দিল্লিতে কুকুরের কামড়ের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় এবং রেবিস আক্রান্ত হয়ে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটায় এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। ১১ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি জে বি পারদেওয়ালা এবং আর মহাদেবনের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্র ছাড়া অন্য কোনও পক্ষের তরফে শুনানি হবে না। বেঞ্চের বক্তব্য, ‘আমরা এই কাজ আমাদের জন্য করছি না, এটি জনস্বার্থে। তাই এখানে কোনও আবেগের স্থান নেই। দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে’। আদালতের বেঞ্চের স্পষ্ট বার্তা, ‘সব জায়গা থেকে কুকুরকে তুলে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। আপাতত নিয়ম-কানুন ভুলে যান’।

    ১১ তারিখের নির্দেশে শীর্ষ আদালত সাফ জানায়, কেউ যদি এই কার্যক্রমে বাধা দেয়, তাকে কোর্টের অবজ্ঞার জন্য কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বলা হয়, ‘পরিস্থিতি অত্যন্ত গুরুতর, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। দ্রুত যেন পথ কুকুর ধরতে শুরু করা হয়। তাদের যদি বিশেষ বাহিনী গঠন করতে হয়, সেটা করুক। তবে এটা প্রথম ও প্রধান কাজ হতে হবে যাতে সমস্ত এলাকা পথ কুকুর মুক্ত হয়’।

    এর পর, ২২ আগস্ট, শীর্ষ আদালত ১১ আগস্টের রায় স্থগিত করে। বদল করা হয় নির্দেশাবলীতে। আগের রায়ে বলা হয়েছিল, দিল্লি এনসিআর এলাকায়, পথকুকুর আর রাস্তায় থাকতে পারবে না। তাদের সরিয়ে নেওয়া হবে অন্যত্র। তারপর থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ, পশুপ্রেমীরা। শুক্রবার শীর্ষ আদালত ওই রায়ের পরিবর্তন করেছে।

    ওইদিন জোর দেওয়া হয়েছে পথকুকুরদের জীবাণুমুক্ত করার এবং টিকা দেওয়ার বিষয়ে। শুক্রবার আদালত জানায়, পথকুকুরদের রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে জীবাণুকরণ প্রতিষেধক এবং বন্ধ্যাত্বকরণ টিকা দেওয়ার পর, আবার যে জায়গার কুকুর, সেই এলাকাতেই ছেড়ে দেওয়া হবে। ব্যতিক্রম হিসেবে, হালমা চালাতে পারে, অর্থাৎ হিংস্র কিংবা জলাতঙ্ক ঘটাতে পারে, এমন কুকুরদের ছাড়া যাবে না বলেও জানানো হয়েছে বলে খবর সূত্রের।

     
  • Link to this news (আজকাল)