• ভালবাসার নাটক করে অন্যত্র বিয়ে প্রেমিকের! হেস্তনেস্ত করতে গিয়েছিলেন তরুণী, দুই সপ্তাহ পর ফিরল তাঁর নিথর দেহ
    আজকাল | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে প্রেমিকের! মন থেকে মেনে নিতে পারেননি তরুণী। রোজ ঝামেলা হত। মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার পর অশান্তিও করতেন। অবশেষে সেই প্রেমের সম্পর্কের ভয়াবহ পরিণতি। প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েই চরম পরিণতি হল ২৬ বছরের এক তরুণীর। প্রেমিকের বিয়ের আগেই তার হাতে খুন হলেন তিনি। 

    সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের রত্নগিরির এক যুবককে প্রেমিকাকে খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রেমিকাকে খুনের পর তাঁর দেহ খালে ফেলে দেয় যুবক। ধৃত যুবকের নাম, দুরভাষ দর্শন পাতিল। ভক্তি জিতেন্দ্র মায়েকর নামের তরুণী নিখোঁজ হওয়ার দুই সপ্তাহ পর তাঁর প্রেমিককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। 

    পুলিশ আরও জানিয়েছে, গত ১৭ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন ২৬ বছর বয়সি ভক্তি। সেদিন বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় পরিবারকে জানিয়েছিলেন, তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। রাতেও বাড়ি না ফেরায়, থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে তাঁর পরিবার। এরপর ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে খান্ডালা এলাকায় তরুণীর খোঁজ মেলে। পাশাপাশি তাঁর প্রেমিক দুরভাষকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। 

    দীর্ঘ জেরার পর ভক্তিকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় সে। পাশাপাশি এও জানায়, আম্বালা ঘাটে দেহটি ছুড়ে ফেলে দিয়েছিল। কিন্তু কেন ভক্তিকে খুন করে সে? দুরভাষ জানিয়েছে, আরেক জায়গায় তার বিয়ের পাকা কথা হয়ে গিয়েছিল। বিয়ের জন্যেই ভক্তির সঙ্গে নিত্যদিন ঝামেলা হত। তীব্র অশান্তি করত সে। রাগের মাথায় তাই ভক্তিকে খুন করে সে। 

    প্রসঙ্গত, গত জুন মাসে প্রেমের সম্পর্কের আরও এক ভয়ঙ্কর পরিণাম দেখা গিয়েছিল। ঘটনাটি ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশের কনৌজ জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, সুলতানপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভোর চারটে নাগাদ বাড়ির ছাদের ঘরে শুয়েছিলেন এক তরুণী। চুপিচুপি পাশের বাড়ির ছাদ টপকে সেই ছাদেই উঠে আসেন ২৩ বছরের তরুণ। প্রেমিকাকে পরপর গুলি করে, নিজেও গুলি করে আত্মহত্যা করেন। 

    পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তরুণের নাম, দেবাংশ যাদব। বাবার বন্দুক দিয়ে প্রেমিকাকে খুন করে, আত্মহত্যা করেন তরুণ। ছাদের ঘরে বোনের সঙ্গে শুয়েছিলেন ২১ বছরের তরুণী। বোনের সামনেই দিদিকে খুন করে পালিয়ে যান তরুণ। বাড়ির অদূরে একটি পুকুর পাড়ে গিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। 

    তদন্তে জানা গেছে, দেবাংশের বাবা প্রাক্তন সেনা আধিকারিক। দ্বাদশ শ্রেণির পর আর পড়াশোনা করেননি তিনি। বাবার সঙ্গে টুকটাক কাজ করেন। এদিকে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা স্নাতকের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রী। তাঁদের প্রেমের সম্পর্কটি সম্প্রতি পরিবারে জানাজানি হয়েছে। তারপরেই শুরু হয় অশান্তি। 

    তরুণীর পরিবার তাঁর অন্যত্র বিয়ের জন্য দেখাশোনা শুরু করে। অবশেষে পাশের একটি গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক হয়। বাগদানের খবর পেয়ে প্রেমিকার হবু বরের কাছেও যান তরুণ। তাঁকে বিয়ে না করার জন্য জোরাজুরি করেন। এরপর আবারও দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা হয়। দেবাংশ সেদিন জানিয়েছেন, তরুণীর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ রাখবেন না। অথচ সেদিনই ভোরবেলায় তাঁকে গুলি করেন। 
  • Link to this news (আজকাল)