'এখনও প্রথম স্ত্রীর উপর টান', বিছানায় স্বামীর পাত্তা না পেয়ে, স্ত্রী যা করে বসলেন, স্বীকার করলেন আবার সবটা...
আজকাল | ৩১ আগস্ট ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্যক্তির টান এখনও প্রথম স্ত্রীর উপর। তাঁর জন্যই বারেবারে অবহেলা করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রীকে। ক্ষোভ তা নিয়েই আর সেই কারণেই নাকি প্রথম স্বামীকে খুন করেছেন দ্বিতীয় স্ত্রী। অভিযোগ ছিল তেমনটাই। সূত্রের খবর পুলিশি জেরায় তিনি তা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তির নাম সঞ্জয় কুমার। বয়স ৪০। দ্বিতীয় স্ত্রী কবিতা তাঁকে ঘুমের মধ্যে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় কবিতা তা স্বীকারও করে নিয়েছেন।
উত্তরপ্রদেশের মুজফফর নগরের ঘটনা সামনে আসতেই এলাকায় আতঙ্ক, চাপা উত্তেজনা। জানা গিয়েচেহ, ২৯ আগস্ট রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ ৩০ আগস্ট, শনিবার কবিতাকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় এবং কবিতার বিয়ে হয়েছিল ২৫ বছর আগে। কবিতাকে বিয়ের আগে, সঞ্জয়ের প্রথম স্ত্রী রয়েছেন।
তাঁকে ঘিরেই বিবাদ। কবিতার সন্দেহ ছিল, সঞ্জয় তাঁকে অবহেলা করছেন প্রথম স্ত্রীর জন্যই। আগেও একাধিকবার এই বিষয়ে বিবাদ হয়েছে দু' জনের। কবিতা গ্রেপ্তারির পর, জেরায় জানিয়েছেন, ২৯ আগস্ট, সঞ্জয় ঘুমনোর সময় কবিতা শ্বাসরোধ করে তাঁকে হত্যা করেন।
এর আগেও, ১৯ আগস্ট সামনে এসেছিল আরও এক খুনের ঘটনা। এক যুবককে তাঁর স্ত্রী সুনীতার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, যুবককে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী সুনীতা। এই খুনের তাকে সাহায্য করেছিল তার প্রেমিক।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, যুবককে খুনের পর সুনীতা ও তার প্রেমিক মিলে দেহটি নীল ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে রেখে, তাতে লবণ ভরে দিয়েছিল। এই ঘটনায় সুনীতা ও তার প্রেমিক জিতেন্দ্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, জিতেন্দ্র ওই বাড়ির মালিকের ছেলে। বর্তমানে দুজনেই পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।
পুলিশ আরও জানতে পারে, সুনীতা ও জিতেন্দ্র কয়েক মাস আগেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপরই হংসরাজকে খুনের পরিকল্পনা করে। এক সপ্তাহ আগে নীল ড্রামটি কিনে ছাদে রেখে দিয়েছিল সুনীতা। এও জানা গেছে, মাত্র দেড় মাস আগে তিন সন্তান, স্বামীর সঙ্গে ওই বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করেছিল সুনীতা। অন্যদিকে জিতেন্দ্রর স্ত্রী ১২ বছর আগে মারা গিয়েছিলেন। সুনীতার সঙ্গে অল্প কয়েকদিনে কথোপকথনের পরেই প্রেমে পড়ে যায়।
জন্মাষ্টমীর দিনেই হংসরাজকে খুন করে তারা। সেদিন পুজো উপলক্ষে একটি মন্দিরে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্রর মা। বাড়ি ফিরে দেখেন, কেউ নেই। প্রথমে তাঁর ধারণা ছিল, সম্ভবত সকলে মিলে জন্মাষ্টমীতে কোথাও ঘুরতে গেছেন। কিন্তু রাতেও কেউ বাড়ি ফেরেননি। পরদিন সকালে ছাদে উঠতেই পচা দুর্গন্ধ নাকে আসে তাঁর।
রবিবার রাজস্থানে নীল ড্রামের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছিল এক যুবকের পচাগলা দেহ। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর স্ত্রীর। ছাদে কাপড় শুকাতে গিয়েছিলেন ওই বাড়ির মালিক। পচা দুর্গন্ধ পেয়েই পুলিশকে ডাকেন তিনি। সেই নীল ড্রামের ঢাকনা খুলতেই সকলে শিউরে উঠলেন। কবে যুবককে খুন করা হয়েছে, খুনের নেপথ্যে কী কারণ, তা ঘিরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানের আলওয়ারে। রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, তিজারা জেলায় আদর্শ কলোনিতে। ওই এলাকার একটি বাড়ির ছাদে নীল ড্রামের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই বাড়ির মালিক, এক বৃদ্ধ মহিলা ছাদে কাজ করতে উঠেছিলেন। কিন্তু পচা দুর্গন্ধ পেয়েই তড়িঘড়ি করে নীচে নেমে আসেন। এরপরই তিনি পুলিশে খবর দেন।