অনুপ দাস: কৃষ্ণনগরে ছাত্রী খুনে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত দেশরাজের মামা। কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার পুলিস গুজরাটের জামনগর থেকে গ্রেফতার করেছে দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে। তবে ঘটনার পরে সপ্তাহ ঘুরতে চললেও এখনও দেশরাজ সিংয়ের কোনও সন্ধান পায়নি পুলিস। গত ২৫ অগস্ট কৃষ্ণনগরে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয় ঈশিতা মল্লিককে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত তাঁরই পূর্ব পরিচিত দেশরাজ সিং। সেদিন থেকেই দেশরাজের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিস।
তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে, দেশরাজকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করেছেন তাঁর মামা কুলদীপ। একাধিক ক্লু-ও মিলেছে। সেই সূত্র ধরেই কুলদীপ সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। কারণ খুনের পর কুদীপের সঙ্গেই প্রথমে যোগাযোগ করে দেশরাজ। তার বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, কুলদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই দেশরাজের খোঁজ মিলতে পারে। তাই গুজরাট থেকে ট্রানজিট রিমান্ডে কৃষ্ণনগরে আনা হচ্ছে তাঁকে। কৃষ্ণনগর পুলিস জেলার সুপার অমরনাথ কে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সূত্র আমরা পেয়েছি। দেশরাজকে সম্ভবত সহযোগিতা করেছেন তাঁর মামা কুলদীপ সিং। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে হয়তো অনেক তথ্য মিলবে।’
অবাঙালি দেশরাজ থাকত উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বীজপুরে। সেখানেই তার সঙ্গে ঈশিতার পরিচয় ও সম্পর্ক। সম্প্রতি নিট এর প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল ঈশিতা। বেশকিছুদিন ধরেই সে দেশরাজের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। তাতেই বেপরোয়া হয়ে ওঠে দেশরাজ। আত্মহত্যারও হুমকি দেয়। তার পরও ঈশিতার কাছ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। তার পরই সম্ভবত খুনের পরিকল্পনা করে ফেলে সে। গত ২৫ অগাস্ট কৃষ্ণনগরে ঈশিতার বাড়িতে ঢুকে পর সে। এরপর সামনে পেয়ে ঈশিতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর।