• ‘প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেশের পরীক্ষা নিচ্ছে’, ভয়াবহ দুর্যোগে ‘মন কি বাতে’ উদ্বেগ প্রকাশ মোদির
    প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্রাছাড়া বৃষ্টি, ভূমিধস, হড়পাবান বহু মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠেছে উত্তরাখণ্ড, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীরের মতো রাজ্যগুলিতে। রবিবার ১২৫ তম ‘মন কি বাতে’ ভয়াবহ এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা উঠে এল মোদির মুখ। তিনি জানালেন, একের পর এক প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেশের পরীক্ষা নিচ্ছে।

    এদিন মন কি বাতের শুরুতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা মনে করান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “চলতি বর্ষার মরশুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয় দেশের পরীক্ষা নিচ্ছে। গত কয়েক সপ্তাহে বন্যা ও ভূমিধস বিরাট ক্ষয়ক্ষতির কারণ হয়ে উঠেছে। বহু বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। চাষের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। বহু পরিবার সর্বনাশের মুখে পড়েছেন। লাগাতার জলের তোড় বহু ব্রিজ ভেঙে দিয়েছে। এই বিরাট ক্ষয়ক্ষতির জেরে সকল ভারতীয় মর্মাহত। যারা এই দুর্যোগে নিজের পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন। তাঁদের যন্ত্রণা আমি বুঝতে পারি।” একইসঙ্গে দেশের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেখানেই সংকট দেখা গিয়েছে, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ছুটে গিয়েছেন উদ্ধারকারী দল ও নিরাপত্তাবাহিনী। মানুষের প্রাণ বাঁচাতে দিনরাত এক করে কাজ করছেন তাঁরা। সেনারা থার্মাল ক্যামেরা, লাইভ ডিটেক্টর, স্নিফার ডগ ও ড্রোন মতো প্রযুক্তির সাহায্যে চলেছে উদ্ধারকাজ।”

    তবে এই দুর্যোগের মধ্যেও জম্মু ও কাশ্মীরে এক বিশেষ কৃতিত্বের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রীড়া ক্ষেত্রে এবার দুই বিশেষ ঘটনা ঘটেছে যা অনেকের নজরে পড়েনি। আপনারা জেনে খুশি হবেন, পুলওয়ামার এক স্টেডিয়ামে প্রথমবার দিন-রাতের ম্যাচ খেলা হয়েছিল। সেই ম্যাচ দেখতে হাজার মাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন। এছাড়া ডাল লেকে ওয়াটার স্পোর্টসের আয়োজন করা হয়েছিল। আগে এই কর্মসূচিগুলিকে অসম্ভব বলে মনে করা হত। কিন্তু এখন দেশ বদলাচ্ছে।”

    এর পাশাপাশি দেশের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসিতে অল্পের জন্য অকৃতকার্য হওয়া যুবক-যুবতীদের জন্য বিশেষ ডিজিটাল প্ল্যার্টফর্ম ‘প্রতিভা সেতু’র কথা উল্লেখ করেন মোদি। তিনি বলেন, “বহু যুবক-যুবতী ইউপিএসসির মতো কঠিন পরীক্ষায় সফল হন। কিন্তু এটাও সত্য যে হাজার হাজার তরুণ তরুণী অল্পের জন্য সাফল্য ছুঁতে পারেন না। তাদের জন্যই এই ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে। এতে তাদের নাম রয়েছে যারা UPSC-এর কোনও না কোনও পরীক্ষার সমস্ত ধাপ উত্তীর্ণ হয়েও চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পেতে পারেননি। এখান থেকেই বেসরকারি সংস্থাগুলিতে চাকরির সুযোগ পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যেই এর মাধ্যমে বহু যুবক-যুবতী চাকরিও পেয়েছেন।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)