• পাহাড়ে ভূমিধসে ফের জাতীয় সড়ক বিপর্যস্ত, পুজোর মুখে আশঙ্কায় দার্জিলিংয়ের পর্যটন ব্যবসায়ীরা
    প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • বিশ্বজ্যোতি ভট্টাচার্য, শিলিগুড়ি: পুজোর মুখে শিলিগুড়ি-সিকিম সড়ক যোগাযোগের লাইফ লাইন ভূমিধসে ফের বিপর্যস্ত হতে চূড়ান্ত ভোগান্তির কবলে পর্যটকরা। পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও মাথায় হাত পড়েছে। শঙ্কা শুক্রবার রাতের ঘটনার জেরে ভুল বার্তা পৌঁছবে পর্যটক মহলে।

    গাড়ি চালকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে সেভক ও কালীঝোরার মাঝামাঝি পাহাড়ি ঢাল থেকে একের পর এক পাথর গড়িয়ে নামার পরই জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে যায় গাড়ি চলাচল। রাত থেকে আটকে পড়েন শতাধিক পর্যটক ও সাধারণ যাত্রী। অন্ধকারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। একাধিক পর্যটক গাড়ি ফেলে হেঁটে শিলিগুড়ির দিকে রওনা দেন। তাঁদের বক্তব্য, ধস নামার শব্দ এতটাই তীব্র ছিল যে মনে হচ্ছিল যেন পাহাড় ভেঙে পড়ছে। পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, এই খবর চাউর হলে বহু পর্যটক ভয়ে শেষপর্যন্ত ভ্রমণ বাতিল করতে পারেন। এদিনের ধসের ঘটনা পুজো মরশুমে পর্যটন শিল্পকে বড় ধাক্কা দিতে পারে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতি বর্ষায় কালীঝোরা, সেভক এলাকায় ভূমিধস নামলে বন্ধ হয়ে যায় জাতীয় সড়ক। অথচ স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ দেখা যায় না। জাতীয় সড়কের ৭ মাইল, ২৮ মাইল ও মেল্লির কাছে ১০ নম্বর এলাকা রীতিমতো বেহাল ও বিপজ্জনক। সামনে পুজো। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পুজোর পর্যটন মরশুম। জাতীয় সড়কের বেহাল দশায় কী পরিস্থিতি দাঁড়াবে বুঝতে পারছেন না পর্যটন ব্যবসায়ী মহল। তারা পর্যটকদের বিকল্প রুটে যাতায়াত করতে হতে পারে জানিয়েই বুকিং নিচ্ছেন।

    এছাড়াও সিকিম ও কালিম্পং প্রশাসনের আলোচনায় বসতে তৎপর হয়েছেন যেন তাদের সময় মতো জানানো হয় কোথায় ভূমিধস নেমেছে, কোন রাস্তা বন্ধ আছে। রাজ্য ইকো ট্যুরিজম কমিটির চেয়ারম্যান রাজ বসু বলেন, “ভূমিধসের কারণে জাতীয় সড়ক বন্ধ হতে পারে। পর্যটকদের জানিয়ে পুজো বুকিং নিতে বলা হয়েছে। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হলে বিকল্প রুটে ঘুর পথে যাতায়াত করতে হবে।” তিনি জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে কয়েকদিনের মধ্যে সিকিম প্রশাসন, কালিম্পং জেলা প্রশাসন এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে ট্যুর অপারেটরদের নিয়ে বৈঠক করা হবে। ভূমিধস এবং কোন রাস্তা বন্ধ ও খোলা আছে, সেটা যেন দ্রুত জানানো হয়। সেই প্রস্তাব রাখা হবে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)