মুখ্যমন্ত্রীর নামে ‘মিথ্যাচার’ করা হচ্ছে, CU-এর শান্তা দত্তকে তোপ ব্রাত্যের
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ আগস্ট ২০২৫
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য শান্তা দত্তের সাম্প্রতিক মন্তব্য ঘিরে রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মহলে ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। স্থায়ী উপাচার্য পদে সাক্ষাৎকারের প্রসঙ্গ থেকে শুরু করে পরীক্ষার তারিখ পিছনো সব বিষয়েই তাঁর বক্তব্যকে কঠোর ভাষায় খণ্ডন করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এ নিয়ে শান্তা দত্তকে তীব্র আক্রমণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানান, শুধু কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, আরও অনেক আবেদনকারীকে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়নি। দ্রুত তালিকা প্রকাশ হবে। তখন দেখা যাবে কারা সুযোগ পেয়েছেন, কারা পাননি। অর্থাৎ, শান্তা দত্ত যে অভিযোগ তুলেছেন, তাতে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ শিক্ষামন্ত্রী।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ২৮ অগস্টের পরীক্ষা। শান্তা দত্ত দাবি করেছিলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিন হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই বক্তব্যকে কার্যত ভুয়ো আখ্যা দিয়ে ব্রাত্য বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কখনও এমন অনুরোধ করেননি। পরীক্ষা পিছনোর প্রসঙ্গ মুখ্যমন্ত্রী তুলেছেন এটা সরাসরি মিথ্যাচার। যদি সত্যিই মুখ্যমন্ত্রী বলতেন, তার লিখিত প্রমাণ থাকত, ই-মেল বা হোয়াটসঅ্যাপে নির্দেশ আসত। কিছুই নেই। বরং ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে।
ব্রাত্য বসু আরও জানান, ওইদিন একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ছিল। সবক’টি প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকারি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। কোথাও কর্তৃপক্ষ অনুরোধ রেখেছে, কোথাও রাখেনি। তাঁর কথায়, তা বলে মুখ্যমন্ত্রীকে জড়িয়ে মিথ্যা প্রচার করে মিডিয়ায় প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করা একেবারেই অনুচিত। মিথ্যারও একটা সীমা থাকে।
শিক্ষামন্ত্রীর অভিযোগ, রাজ্যপালের মনোনীত উপাচার্যরা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন বার্তা ছড়াচ্ছেন, যাতে মনে হয় ছাত্র সংগঠনের চাপে বা মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পরীক্ষা পিছনো হচ্ছে। তাঁর কটাক্ষ, উচ্চশিক্ষা দফতর বা তৃণমূল কংগ্রেসকে দোষারোপ করার জন্যই এসব নাটক সাজানো হচ্ছে।