আচমকা দাউদাউ করে জ্বলে উঠল চারপাশ, বাজিকারখানায় বিস্ফোরণে মুহূর্তে ঝলসে গেলেন কারখানার মালিক, বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
আজকাল | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সকালের দিকে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। বিপত্তি বাড়ল, বেলা বাড়তেই। যোগী রাজ্যে ভয়াবহ বিস্ফোরণে, ঝলসে মৃত্যু অন্তত সাতজনের। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে এই মর্মান্তিক, ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেকের আটকে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। শুরু হয়েছে উদ্ধারকার্য।
প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কমপক্ষে ছ' টি দমকলের ইঞ্জিন মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, নিহতদের মধ্যে কারখানার মালিক আলমও রয়েছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, কারখানার ভিতরে কর্মরত আলমের স্ত্রী আলম এবং তাঁদের দুই ছেলেও বিস্ফোরণে মারা গেছেন। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছে, তাঁদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
এর আগে, ৬ আগস্ট সাতসকালে কেঁপে ওঠে পাঞ্জাবের মোহালি। ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে অক্সিজেন প্ল্যান্টে। দাউদাউ আগুন জ্বলে ওঠে তারপরেই। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন স্থানীয়রা। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের একাধিক ইঞ্জিন।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে পাঞ্জাবের মোহালির একটি অক্সিজেন প্ল্যান্টে। শহরের ফেজ ৯-এ অবস্থিত এই অক্সিজেন প্ল্যান্টটি। বুধবার সকালে হঠাৎ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিস্ফোরণের জেরে আহত হয়েছেন বহু। বিস্ফোরণের জেরে কমপক্ষে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকল। মোহালি পুলিশ কমিশনার ঘটনাপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বুধবার সকালেই ওই অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এখনও পর্যন্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে গত মে মাসে পাঞ্জাবের মুক্তসর জেলার সিঙ্ঘেওয়ালা গ্রামে একটি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে প্রাণ হারান পাঁচজন পরিযায়ী শ্রমিক। ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২৯ জন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে গোটা কারখানা ভেঙে গুঁড়িয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিয়ানা সীমানার নিকটবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত ওই বাজি কারখানায় আতশবাজি উৎপাদন এবং প্যাকেজিংয়ের কাজ চলে। ওখানে কাজ করতে আসা বেশিরভাগ শ্রমিকই ছিলেন পরিযায়ী শ্রমিক। প্রাথমিক তদন্তের পর মুক্তসারের পুলিশ সুপার অখিল চৌধুরী বলেন, 'দুর্ঘটনাবশত কাজ চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটে কারখানার ভিতরে। যার জেরে পুরো কারখানাটি ধসে পড়ে যায়। আগুনের চেয়েও কারখানা ভেঙে পড়ার জেরে তার নিচে চাপা পড়েই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।'
২০২২ সালে মে মাসে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দপ্তরে ভর সন্ধ্যায় গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পুলিশের দপ্তর। সেদিন সন্ধেয় রকেট চালিত গ্রেনেড হানায় দপ্তরের কাচের জানালা ভেঙে যায়। এই ঘটনা নিয়ে উঠছে বিবিধ প্রশ্ন। মোহালি পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল, 'সেক্টর ৭৭-এ এসএএস নগরে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা সদর দপ্তরে সন্ধেয় একটি ছোট বিস্ফোরণ হয়। কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফরেন্সিক দলও ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। হতাহতের খবর নেই।'
মোহালির বিস্ফোরণের নেপথ্যে কি কোনও সন্ত্রাসী সংগঠন ছিল? এই প্রশ্নই এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে। যা এখনও অমীমাংসিত। পঞ্জাব পুলিশ দাবি করেছে, এর সঙ্গে কোনও সন্ত্রাসী যোগসূত্র নেই।