• মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে চিঠি ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের
    আনন্দবাজার | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে ‘অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ‘দাগি’ হিসাবে উল্লেখ রয়েছে ১৮০৬ জনের নাম। এই পরিস্থিতিতে ‘যোগ্য’রা মেল পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তাঁদের দাবি, ‘অযোগ্য’ চিহ্নিত হয়ে যাওয়ার পরেও ‘যোগ্য’দের আবার পরীক্ষা দিতে বলার কোনও মানে হয় না।

    ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের’ পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে মেল পাঠিয়ে দাবি জানানো হয়েছে, বিধানসভায় আলোচনা করে যোগ্যদের পুনর্বহাল করা হোক। তাঁদের দাবি, প্রযোজনে বিল পাশ করানো হোক। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই প্রমাণিত হয় ১৫,৪০৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় চার হাজার জন শিক্ষাকর্মী ‘যোগ্য’। তবুও আদালতের নির্দেশে তাঁদের জুটেছে ‘অবাঞ্ছিত’ তকমা।

    আদালতের নির্দেশে ‘দাগি’ নন চাকরিহারা এমন শিক্ষক-শিক্ষিকারা অবশ্য ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরি করতে পারবেন। শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও এই ‘রক্ষাকবচ’ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর এসএসসি’র পরীক্ষা। তবে তার আগেই এসএসসি প্রকাশ করেছে ‘অযোগ্য’দের তালিকা। তাই যোগ্যদের আবার পরীক্ষা নেওয়ার কোনও মানে নেই বলেই দাবি করেছে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-সহ একাধিক সংগঠন। বিধানসভায় ‘গুরুত্ব’ দিয়ে ‘যোগ্য’দের সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে চাকরি ফেরানোর দাবিও তোলা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতার পাশাপাশি চিঠি পাঠানো হয়েছে বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকেও। সমস্যার সমাধান করতে বলে ‘যোগ্য’রা আহ্বান জানাচ্ছেন বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিকে।

    এই প্রসঙ্গে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চের’ পক্ষ থেকে অন্যতম নেতা মেহবুব ম‌ণ্ডল বলেন, ‘‘এখন জলের মত পরিষ্কার কারা যোগ্য ও কারা অযোগ্য। সরকারের উচিত আমাদের সব রকম ভাবে রক্ষা করা। আমাদের অনেকেই ভোট দিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছি। ভোটদাতা হয়ে আমরাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি‌। আমাদের সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে জনপ্রতিনিধিদের দেখা উচিত।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)