দেবদা, ধ্রুবদা থাকতে বলেছিল, কাজের চাপে পারিনি! ‘জয় কালী’ ধ্বনি দিয়েও কেন আফসোস রথীজিতের
আনন্দবাজার | ৩১ আগস্ট ২০২৫
দেব আর রথীজিৎ ভট্টাচার্য। নামদুটো একসঙ্গে উচ্চারিত হলেই সচকিত টলিউড। আরও একটি ‘কিশোরী’ গান কি উপহার পাবে দর্শক-শ্রোতা? এমনই অলিখিত ধারণা যেন সকলের! সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘রঘু ডাকাত’ ছবির গান। রথীজিৎ ‘জয় কালী’ ধ্বনি দিয়েছেন।
এই গানের সুরকার এবং শিল্পী তিনি। ঠোঁট মিলিয়েছেন দেব। কালীর কৃপা পেলেন?
যোগাযোগ করে প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। রথীজিৎ ব্যস্ত আসন্ন গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘সারেগামাপা’ নিয়ে। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগীদের গানের প্রশিক্ষক তিনি। তার মধ্যেই ফোনে বললেন, “দুটো দু’রকমের গান। প্রথমটি আদ্যন্ত প্রেমের। দ্বিতীয়টি দেবীর সামনে ডাকাতদলের উদ্যাপনের মুহূর্ত।” মৃদু হেসে পাল্টা প্রশ্ন, “দুটো গানের মধ্যে তুলনা টানলে কী করে হবে?”
ছবির পরিচালক ধ্রুব বন্দ্যোপাধ্যায় গানের দৃশ্য বুঝিয়ে দিতেই একটি বিষয় ঠিক করে নিয়েছিলেন রথীজিৎ। ডাকাতদলের সব কিছু উঁচু স্বরে বাঁধা। গানে সেই উচ্চকিত বিষয়টি রাখতে হবে। “সেই জন্যই বেছে নিয়েছিলাম শিঙা, ঢাক, ঢোল, তাসা, টিনের ড্রাম, হালগি, ডুবকি, বাঁশি। যা ডাকাতদের আগ্রাসী মনোভাব গানের মধ্যে ফুটিয়ে তুলতে সহযোগিতা করেছে।” তার পরেই আফসোস, “দেবদা, ধ্রুবদা— দু’জনেই গানের শুটিংয়ের দিন থাকতে বলেছিল। কাজের চাপে পারলাম না। শুনেছি, রাতভর জেগে দু’দিন ধরে গানের দৃশ্য শুট হয়েছে।”
কথাপ্রসঙ্গে তিনি ফাঁস করেছেন আরও একটি বিষয়। “ছোট থেকেই আমাদের মনে ডাকাত মানে রবি ঠাকুরের ‘হা রে রে রে’ ধ্বনি। ওই ধ্বনি গানে ব্যবহার করেছি। আর মায়ের স্তোত্রপাঠ হয়েছে গানের ফাঁকে ফাঁকে। ৩০ জনের ‘কোরাস’ গানকে আরও জোরালো করেছে”, বক্তব্য সুরকার-গায়কের। ‘খাদান’ ছবির ‘কিশোরী’ গানের দর্শকসংখ্যা দেড়শো লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। ‘জয় কালী’ কি পাল্লা দিতে পারবে? মাত্র চার দিনেই ৬২০ হাজার দর্শক গানটি দেখছেন এবং শুনছেন। দিন যত এগোবে সেই সংখ্যা বাড়বে, জানালেন আশাবাদী রথীজিৎ।