• সপ্তরূপে সোহম চক্রবর্তী, কেমন হল ‘বহুরূপ’? পড়ুন রিভিউ
    প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • শম্পালী মৌলিক: সাইকোলজিকাল থ্রিলার ‘বহুরূপ’ ছবিটি, ফলে গল্প বলা যাবে না। নয়তো প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবি দেখার মজাটাই মাটি। ছবিটি যেদিন ঘোষণা হয়েছিল, তখনই আগ্রহ জন্মেছিল। কারণ, বাংলা ছবিতে একজন অভিনেতাকে সাত রূপে পাওয়া যাবে তেমন তো বড় একটা ঘটে না। ট্রেলার মুক্তির পরে কৌতুহল বৃদ্ধি পায়। সোহম চক্রবর্তী দক্ষ অভিনেতা, তিনি কীভাবে সপ্তরূপ পর্দায় ফুটিয়ে তোলেন দেখতে হল-এ গিয়েছিলাম। সোহম যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।

    চিত্রনাট্যের কাঠামো অনেকটা এইরকম একজন সিরিয়াল কিলারের কাণ্ডকারখানা নিয়ে পুলিশ ব্যতিব্যস্ত। খুন করে রক্ত দিয়ে কবিতা লিখে সে রেখে যায়। তবে প্রতিটা কবিতা আলাদা হস্তাক্ষরে লেখা যেন। একটাই সূত্র থাকে ফিঙ্গারপ্রিন্টস। মূল চরিত্রে সোহম, যিনি অভিনেতা ‘অভিমন্যু’। তার ফিল্ম কেরিয়ারের নানা দিক দেখানো হয়েছে। ইধিকা পাল ‘উত্তরা’-র চরিত্রে। তিনি সোহমের প্রেমিকা। সে-ও অভিনয় জগতে রয়েছে। এবার তাদের কাহিনি এগোয় ফ্ল্যাশব্যাকে আর ফ্ল্যাশ ফরোয়ার্ডে। ছবিটা দেখতে দেখতে ‘বাইশে শ্রাবণ’ কিংবা ‘ভিঞ্চিদা’ কথা মনে এলেও, কোনও তুলনাতেই আসে না। এই কারণে, যে চিত্রনাট্যের বুনট সেক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে হত। পরিচালক আকাশ মালাকার এই বিষয়ে আরেকটু যত্ন নিলে ভালো লাগত।

    খুনের তদন্তে ‘বৃশভাদিত্য’ নামের এক পুলিশের চরিত্রে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের অভিনয় চমৎকার লাগে। অভিমন্যু আর উত্তরার সঙ্গে গল্পে যোগ রয়েছে পরিচালক ‘ডিডি’-র। সেই চরিত্রে লোকনাথ দে বেশ ভালো। এই তিনজন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িয়ে। সেই দিকটা উঠে আসে অতীতের ছায়ায়। এরপর ছবি এগোয় পাঁচটা মার্ডারের সূত্র সন্ধানে। অনুসন্ধান করতে গিয়ে চরিত্রগুলোর মনোজগতের চুলচেরা বিশ্লেষণ আরও সচেতনভাবে করা যেত। নয়তো বড্ড সরলীকরণ মনে হয়েছে। সোহম চক্রবর্তী সবকটা লুক বিশ্বাসযোগ্য ভাবে তুলে ধরেছেন, চিত্রনাট্য তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করেনি। ইধিকা পাল গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে, তাঁর স্ক্রিন প্রেজেন্স, সংলাপ বলার ধরন ছাপ রাখে। বোঝাই যায় ইধিকা ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে এসেছেন। সিনেমাটোগ্রাফি ও অ্যাকশন কোরিওগ্রাফি মন্দ নয়। ছবি শেষ হয় সিকুয়েলের সম্ভাবনা রেখে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)