• ‘তোর ভালোবাসা আজও’… প্রিয় ঋতুপর্ণর জন্মদিনে আবেগপ্রবণ প্রসেনজিৎ
    প্রতিদিন | ৩১ আগস্ট ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নয়ন সম্মুখে তুমি নাই, নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই’… ঋতুপর্ণ ঘোষ, বাংলা ছবির এক কিংবদন্তি। তাঁর চলে যাওয়ার পর কেটে গিয়েছে প্রায় এক যুগ। কিন্তু তারপরও তিনি বাংলা ছবির জগতে ততটাই প্রাসঙ্গিক, যতটা সেদিন ছিলেন। বাংলা ছবির জগৎ আজও তাঁকে প্রতি মুহূর্তে মিস করে। রবিবার ঋতুপর্ণর জন্মদিনে স্মৃতির পাতায় ডুব দিলেন সুপারস্টার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় থেকে অভিনেতা ও রেডিও-ব্যক্তিত্ব মীর, যাঁরা ছিলেন তাঁর একান্ত সুহৃদ। যাঁদের হৃদয়ে আজও রয়েছে সৃষ্টিশীল মানুষটির স্মৃতি।

    প্রিয় বন্ধু-পরিচালককে নিয়ে এদিন সোশাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করেন প্রসেনজিৎ। তিনি লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন ঋতু… তুই নেই, কিন্তু তোর সৃষ্টি আর তোর ভালোবাসা আজও আমাদের মধ্যে বেঁচে আছে।’ সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন একটি ছবি। সেই ছবি দেখে চিনতে কোনও অসুবিধা হয় না যে সেটি জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘গানের ওপারে’র শুটিং সেটের। সেখানেই ফ্রেমবন্দি হওয়া দু’জনের একটি মুহূর্ত ভাগ করে নিয়েছেন প্রসেনজিৎ।

    শুধু তাই নয়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এদিন ঋতুচারণায় বুঁদ হয়েছেন মীরও। এক সময়ের ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল তাঁর। এ কথা সকলেরই জানা। কিন্তু সেই মনান্তর বেশিদিন থাকেনি। তা কেটে গিয়ে দু’জনের সম্পর্ক যে ফের আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছিল, মধুর হয়েছিল সে কথার উল্লেখ করেই এদিন একটি পোস্ট শেয়ার করেন মীর। প্রয়াত পরিচালকের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে মীর লেখেন, ‘ আজও! আজও অনেকে আছেন যাঁরা ভাবেন আমাদের বুঝি মুখ দেখাদেখি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সেই ২০১১ সালে, ‘ঘোষ অ্যান্ড কোম্পানি’র পর থেকে। আমরা নাকি সোর্ন এনিমিজ ছিলাম। একে অপরকে নাকি সহ্য করতে পারতাম না। আমি কিন্তু আজও মানুষটির জাবরা ফ্যান। আজ তাঁর জন্মদিন। তাই খুব স্বাভাবিক নিয়মে এই পোস্ট। অ্যান্ড বাই দ্য ওয়ে, হি ইজ স্টিল মাই ফেভারিট ‘ফেনোমেনা অফ ডিসকাশন’। বোধ হয় কোথাও ওনার ওই হাসি মুখে মিথ্যে রাগ ঝুলিয়ে “এক মারবো শয়তান!!” বলা’টা শোনার লোভে।’

    ২০১৩ সালের সেই দিনটিতে সকালবেলায় দেখা গিয়েছিল নিজের ঘরে প্রিয় বিছানায় নিদ্রিত পরিচালক। এতগুলো বছর পেরিয়ে গিয়েও বাঙালির মননে সদা জাগ্রত সেলুলয়েডের মরমি শিল্পী-পরিচালক। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর অভিঘাত রয়ে গিয়েছে আজও। তাঁর চলে যাওয়ার এক যুগ পেরিয়ে গেলেও নীরবে, কাজের মধ্য দিয়ে অনেকেই মনে রেখেছেন তাঁকে।
  • Link to this news (প্রতিদিন)