• আজ বিহারে শেষ রিভিশন প্রক্রিয়া, এসআইআর শেষ হলে নয়া স্মার্ট ভোটার কার্ড
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: অপেক্ষা সুপ্রিম কোর্ট কী বলে। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর শুনানি। তারপরই বিহারের অভিজ্ঞতা সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গ সহ গোটা দেশে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) শুরু করতে তৈরি ভারতের নির্বাচন কমিশন। ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ দিয়ে শুদ্ধ তালিকা তৈরি করে গোটা দেশের ভোটারদেরই দেওয়া হবে সম্পূর্ণ নতুন এপিক। যা দেখতে কিছুটা স্মার্ট কার্ডের মতো। নাগরিকদের কাছে বর্তমানে যে ভোটার পরিচয়পত্র রয়েছে, তা বাতিল করে দেওয়া হবে। ভোটারদের থেকে নেওয়া হবে রঙিন ফটো। কারও কাছে তা না থাকলে আবেদনপত্র জমা করার সময় বিএলও (বুথ লেভেল অফিসারস) তাঁর মোবাইলে ছবি তুলে নেবেন। একই নাম, পদবিতে গোটা দেশে একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন। কিন্তু দেখতে আলাদা। তাই সাম্প্রতিক ছবি সহ ভোটার তালিকা তৈরি করেই ভুয়ো ভোটার আটকাতে চাইছে কমিশন। 

    ভোটার তালিকা শুদ্ধকরণের জন্য বিএলও, বিএলও সুপারভাইজারদের সাম্মানিক বাড়াল কমিশন। আগে বিএলও পেতেন ৬ হাজার টাকা। এখন পাবেন ১২ হাজার টাকা। এছাড়া অতিরিক্ত দু’ হাজার টাকা ইনসেনটিভ। বিএলও সুপারভাইজাররা এখন পান ১২ হাজার টাকা। সেটি বেড়ে হচ্ছে ১৮ হাজার। ভোটার তালিকার কাজের জন্য ইআরও এবং এইআরও’রা এতদিন কোনও সাম্মানিক পান না। এবার তাঁরাও পাবেন। ইআরও পাবেন ৩০ হাজার টাকা। এইআরও ২৫ হাজার। রাজ্য‌ সরকারি কর্মচারীরা যাতে কমিশনের ডেপুটেশনে কাজের উৎসাহ পান, তারই লক্ষ্যে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

    এদিকে, আজ ১ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে বিহারের এসআইআর। খসড়া তালিকায় নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই ৬৫ লক্ষ লোকের নাম বাদ দিয়েছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিতর্ক রয়েছে জারি। তারই মধ্যে রবিবার কমিশনের অ্যাসিট্যান্ট ডিরেক্টর অপূর্ব কুমার সিং জানিয়েছেন, নতুন করে ২ লক্ষ ৭ হাজার ৫৬৫ ভোটার তাদের নাম কাটার আবেদন করেছেন। খসড়া তালিকায় বাদ পড়া মাত্র ৩৩ হাজার ৩২৬ জন নাম অন্তর্ভূক্ত করার আর্জি জানিয়েছেন। সম্পূর্ণ নতুন তথা প্রথমবার ভোটার হতে আবেদনের সংখ্যা চমকপ্রদভাবে বেড়েছে। গত এক মাসে ১৫ লক্ষ ৩২হাজার ৪৩৮ জন প্রথমবার ভোটার হওয়ার আবেদন করেছেন। 

    কমিশন জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত নাম অন্তর্ভূক্ত এবং বাতিলের আবেদন জমা পড়েছে যথাক্রমে ২৫ এবং ১০৩ টি। যদিও কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরার অভিযোগ, কমিশনের কাছে অভিযোগ জমা করতে গেলে তা বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলি ৮৯ লক্ষ অভিযোগ জমা করতে গিয়েছিল বলেই দাবি করেছেন তিনি। যদিও কমিশন এই তথ্য মানতে নারাজ। 
  • Link to this news (বর্তমান)