চণ্ডীগড়: শিশুর জন্মের পর এক পক্ষকালও পেরয়নি। এই অবস্থায় পাঞ্জাবের বন্যায় আটকে পড়েছিল মা ও শিশু। খবর পেয়েই তাদের উদ্ধার করে এক লহমায় আলোচনার কেন্দ্রে ভারতীয় সেনা। তাঁদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছেন সকলে। তবে এই উদ্ধারের কাজ সহজ হয়নি। পাঞ্জাবের পাক সীমান্তবর্তী জেলা গুরুদাসপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা এখন জলের নীচে। জেলার ধাঙ্গাই গ্রামের একটি বাড়িতে শিশুসন্তানকে নিয়ে আটকে পড়েন মহিলা। শনিবার খবর পেয়েই সেনার খর্গ কোর সাপারের জওয়ানরা উদ্ধারের পরিকল্পনা শুরু করেন। ১৮ কিলোমিটার উজিয়ে দুঃসাহসিক অভিযান চালান তাঁরা। রবিবার তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
কীভাবে উদ্ধার হল? সেনা সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রথমে বিশেষ ধরনের মইয়ে মহিলা ও শিশুকে দোতলা থেকে নামানো হয়। এরপর তীব্র জলের স্রোত উপেক্ষা করে তিন কিলোমিটার দূরে নৌকা করে আনা হয়। এরপর জলমগ্ন রাস্তা ধরে সেনার গাড়িতে তাঁদের ১৫ কিলোমিটার এনে তাঁদের নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হয়। মা ও শিশুকে দেওয়া হয় দুধ, খাবার ও জল। এদিকে পাঞ্জাবের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। শতদ্রু, বিপাশা ও ইরাবতীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করে গিয়েছে। এর জেরে গুরুদাসপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, কপুরথালা, তরণ তারণ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। বন্যা ও বানালায় ধসের জন্য বৃহস্পতিবার চণ্ডীগড়-মানালি হাইওয়ে বন্ধ করে দিতে হয়। এখনও এই সড়কে যান চলাচল শুরু করা যায়নি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের নির্দেশে রাজ্যের সমস্ত মন্ত্রীরা বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারের তদারকি শুরু করেছেন। ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে সেনা, এনডিআরএফ, পাঞ্জাব পুলিস এবং জেলা প্রশাসন একযোগে কাজ করে চলেছে।