• খুলে গেল গজলডোবা ব্যারাজের সেতু
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: গজলডোবা ব্যারাজের সেতু খুলে যেতেই ভিড় পর্যটকদের। সংস্কারের জন্য গত ২৭ এপ্রিল থেকে বন্ধ থাকা সেতু খুলে দেওয়া হয় রবিবার দুপুরে। বিকেল থেকেই ভোরের আলো পর্যটনকেন্দ্রে ভিড় জমাতে শুরু করেন পর্যটকরা। পুজোর আগে সেতু খুলে যাওয়ায় শিলিগুড়ি থেকে ডুয়ার্সে যাতায়াত সহজ হল। এখন থেকে আর সেভক কিংবা জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি হয়ে ঘুরপথে গোরুমারা, লাটাগুড়ি যাতায়াত করতে হবে না। একইসঙ্গে পুজোর মুখে ব্যারাজের রাস্তাটি চালু হওয়ায় ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের পাশাপাশি ডুয়ার্সের পর্যটন চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় বিধায়ক খগেশ্বর রায় থেকে রাজ্যের মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক। 

    তবে ২৫ টনের বেশি ওজনের গাড়ি ব্যারাজের রাস্তা দিয়ে যেতে পারবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, ব্যারাজের রাস্তা দিয়ে কি ডাম্পার চলবে? যদি চলতে দেওয়া না হয়, সেক্ষেত্রে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছেন ডাম্পার মালিকরা। 

    রাজ্যের উদ্যোগে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকায় সংস্কার করা হয়েছে ব্যারাজের সেতু ও রাস্তাটি। মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক বলেন, ২০২৩ সালে সিকিমে ভয়াবহ হ্রদ বিপর্যয়ের জেরে পাহাড় থেকে বোল্ডার-মাটি বহন করে এনে গজলডোবা ব্যারাজে জমা করে তিস্তা। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যারাজ। ব্যারাজের রাস্তার হালও খারাপ হয়ে পড়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ব্যারাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে যান। এরপরই সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ হয়। নির্ধারিত সময়ের দু’সপ্তাহ আগেই আমরা কাজ শেষ করে রাস্তা খুলে দিতে পারলাম। এতে নিত্যযাত্রীদের পাশাপাশি পর্যটকদেরও সুবিধা হল। 

    রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা গজলডোবা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির ভাইস চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, শিলিগুড়ি থেকে যেসব পর্যটক ডুয়ার্সের লাটাগুড়ি, গোরুমারায় বেড়াতে আসেন, তাঁরা গজলডোবা ব্যারাজের রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ভালোবাসেন। একদিকে ক্যানেল, অন্যদিকে জঙ্গলে ঘেরা রাস্তাটি যেমন সুন্দর, তেমনই সময়ও অনেক কম লাগে।
  • Link to this news (বর্তমান)