• ডুয়ার্সের ৫০ শতাংশ রুম বুক, স্পেশাল ট্রেন চেয়ে রেলের দ্বারস্থ হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়, কোচবিহার: বাঙালির মেগা উৎসব দুর্গাপুজোর বাকি আর মাত্র ২৭ দিন। এদিকে, এখনই ডুয়ার্সের বেসরকারি হোটেল, রিসর্ট পঞ্চাশ শতাংশ বুকিং হয়ে গিয়েছে। যাঁরা কলকাতা সহ রাজ্য বা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুজোর ছুটিতে ডুয়ার্সের নদী-জঙ্গল-পাহাড় ঘেরা স্পটে বেড়াতে আসতে চান তাঁদের অনেকেই আগেভাগে এখানকার হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টেতে বুকিং সেরে ফেলেছেন। কিন্তু পরের দিকে যাঁরা বুকিং করতে যাচ্ছেন তাঁরা এখন আর ট্রেনের টিকিট পাচ্ছেন না। এর ফলেই ডুয়ার্সের হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে বুকিংয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় ট্যুর আপরেটররা। ডুয়ার্সগামী পর্যাপ্ত ট্রেন না থাকার কারণে এমনটা বলে দাবি তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে সিঁদুরে মেঘ দেখে পুজোর মরশুমে স্পেশাল ট্রেন চেয়ে ডিআরএমের দ্বারস্থ হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত সংগঠনগুলি। 

    পুজোর মরশুমে রেল ডুয়ার্সের আসার জন্য স্পেশাল ট্রেন দিলে পর্যটকরা সহজেই এদিকে আসার সুযোগ পাবেন, আর তাতেই হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টের বাকি অর্ধেক বুকিং হয়ে যাবে বলে আশাবাদী স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। স্পেশাল ট্রেনের দাবিতে চলতি সপ্তাহেই রেলকে চিঠি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। 

    ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভেলপমেন্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, পুজোর মরশুমে ডুয়ার্সের রিসর্ট, হোটেল, হোমস্টেগুলিতে এবার বুকিং তুলনামূলকভাবে ভালো। এখনও পর্যন্ত পঞ্চাশ শতাংশ বুকিং হয়ে আছে। ডুয়ার্সমুখী প্রতিটি ট্রেনের টিকিটই ওয়েটিংলিস্ট কিংবা রিগ্রেট দেখাচ্ছে। তাছাড়া পর্যাপ্ত ট্রেনেও নেই। ফলে টিকিট কনফার্ম না হওয়ায় কেউ কেউ আসার সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। রেল যদি স্পেশাল ট্রেন চালায় তবে বাকি পঞ্চাশ শতাংশ বুকিং হয়ে যাবে। শেষলগ্নে ট্রেন না দিয়ে এই সময়ই স্পেশাল ট্রেন দেওয়ার কথা ঘোষণা করলে ভালো হয়। তাই আমরা এক-দু’দিনের মধ্যেই আলিপুরদুয়ার ডিআরএমকে চিঠি দেব। 

    ডুয়ার্সে তিস্তা থেকে সংকোশ পর্যন্ত প্রায় তিনশো হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে রয়েছে। বিস্তীর্ণ এই ডুয়ার্সের বন-জঙ্গল পর্যটকদের আকর্ষণ করে। গোরুমারা, চাপরামারি, জলদাপাড়া, মাদারিহাট, চিলাপাতা, বক্সা, জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়ার মতো জায়গায় ছুটির সময়ে পর্যটকরা আসার জন্য মুখিয়ে থাকেন। এখনে অভয়ারণ্য, জাতীয় উদ্যান বেড়ানোর সুযোগ আছে। হাতি, গন্ডার, বাইসন, হরিণ সহ অন্যান্য জীবজন্তু দেখার পাশাপাশি রয়েছে ডুয়ার্সের অপার সৌন্দর্য। 

    হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টের মালিকরাও চাইছেন পর্যটকরা এলে তাঁদের নতুন নতুন জায়গার সন্ধান দিতে। ডামডিং মনেস্ট্রি, বাগরাকোটের লুপ ব্রিজ, কাঠামবাড়ি ফরেস্ট, সামসি ভুটান, জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়ার মতো প্রত্যন্ত নৈসর্গিক সৌন্দর্যে ভরপুর জায়গাগুলি ঘুরে দেখার পরামর্শ তাঁরা দিতে চান। 
  • Link to this news (বর্তমান)