• অযোগ্য তালিকা প্রকাশের পর জেলায় পরীক্ষা দিতে পারছেন না প্রায় ৮৫ জন
    বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রায় ৮৫ জনের অ্যাডমিট বাতিল করল এসএসসি। আগামী ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার আগে সুপ্রিম নির্দেশে অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকা প্রকাশের পর মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে। শুধু অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশই নয়, তাদের মধ্যে যারা দ্বিতীয় এসএলএসটি অর্থাৎ সেপ্টেম্বরে আয়োজিত হতে চলা শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেছিল, তাদের অ্যাডমিট কার্ড বাতিলের তালিকাও প্রকাশ করেছে এসএসসি। নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ১০২০টি অ্যাডমিট কার্ড বাতিল করা হয়েছে। আর একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বাতিল হয়েছে ১১৪০টি অ্যাডমিট। তবে অনেক ক্ষেত্রে একই ব্যক্তি দু’টি স্তরের পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেছিলেন। তাই অ্যাডমিট কার্ড বাতিলের মোট সংখ্যা ২১৬০ হলেও আসলে ১৪০০ প্রার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবে না। প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রায় ৫০ জন পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড বাতিল হয়েছে। একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় বসতে পারছে না আরও প্রায় ৩৫ জন। 

    এই অযোগ্যরা শুধু সারা জীবনের জন্য সরকারি চাকরির আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হল, তা নয়। তারা সুদ সমেত বেতনের অর্থও সরকারকে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট এমনই নির্দেশ দিয়েছে। ফলে জেলাজুড়ে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে। বহরমপুর, কান্দি, লালবাগ, ডোমকল এবং জঙ্গিপুর মহকুমার বেশ কিছু নামী স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা অযোগ্যদের তালিকায় রয়েছে। এদিকে, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার মাধ্যমে চাকরি নেওয়া কয়েকজনের নামও অযোগ্যদের তালিকায় আছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এটেছে শাসকদলের নেতারা। 

    আগামী সপ্তাহেই এসএসসি শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেবে। প্রাথমিকভাবে আবেদনকারীদের যে সংখ্যা জানানো হয়েছিল তার ব্যাপক হেরফের হতে চলেছে। মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসন প্রাথমিকভাবে আগের তালিকা অনুসারে পরীক্ষা প্রস্তুতির সমস্ত বন্দোবস্ত করলেও এসএসসি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করার পর কোনও নতুন সংশোধিত তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠায়নি। ফলে কোন পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে কতজন পরীক্ষার্থীর নাম বাদ যাবে তা বুঝতে পারছেন না আধিকারিকরা। 

    জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, গোটা পরীক্ষা প্রক্রিয়াটি এসএসসির মাধ্যমে সংঘটিত হয়। আমরা জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে পরীক্ষাটির ব্যবস্থাপনা করি। শনিবার রাতে এসএসসি তালিকা প্রকাশ করেছে বলে শুনেছি। তবে মুর্শিদাবাদ জেলায় মোট কতজন পরীক্ষার্থীর নাম বাদ গেল, সেই চূড়ান্ত তালিকা রবিবার বিকেল পর্যন্ত আমাদের কাছে এসে পৌঁছয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)