সংবাদদাতা, কান্দি: বিশ্ব রাজনীতিতে কাছাকাছি আসছে ভারত-চীন। দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাতেই আশার আলো দেখছেন কান্দির পরচুলা ব্যবসায়ীরা। সরাসরি চীনা এজেন্ট মারফত ব্যবসা শুরু হলে লাভের অঙ্ক বাড়বে বলে তাঁদের আশা।
কান্দি মহকুমার বহু পরিবার কয়েক দশক ধরে পরচুলা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। সেই সংখ্যাটা বর্তমানে কয়েক হাজারে দাঁড়িয়েছে। পরচুলা কারবারিরা মাথার ঝড়ে পড়া চুল পরিষ্কার করে তা গোছা আকারে বান্ডিল বেঁধে বিদেশে রপ্তানি করে থাকে। একদশক আগেও সরাসরি চীনা এজেন্টরা এই এলাকা থেকে সরাসরি চুল আমদানি করতে পারতেন নিজেদের দেশে। কিন্তু, সীমান্তে সংঘর্ষের পর ভারত ও চীনের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। তার জেরে সমস্যায় পড়েন পরচুলা ব্যবসায়ীরা। সরাসরি এখান থেকে চুল কেনা বন্ধ হয়ে যায়। পরিবর্তে চীনা এজেন্টরা মায়ানমার ও থাইল্যান্ডের এজেন্ট মারফত চুল আমদানি করছেন নিজেদের দেশে। এর ফলে কান্দির পরচুলা ব্যবসায়ীদের লাভের অঙ্ক কমে যায়। তবে আমেরিকার শুল্ক যুদ্ধের ঘোষণায় ফের ভারত ও চীন কাছাকাছি আসছে। তাতেই পরচুলা ব্যবসায়ীরা আশার আলো দেখছেন।
স্থানীয় বিনোদিয়া গ্রামের চুল ব্যবসায়ী হোসেন আলি বলেন, বর্তমানে আমরা ঘুরপথে চীনে চুল রপ্তানি করে থাকি। সরাসরি চীনের চুল রপ্তানি করা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমাদের ভায়া থাইল্যান্ড বা মায়ানমারের এজেন্ট মারফত চুল বিক্রি করতে হয়। তাই লাভের অঙ্ক কমে গিয়েছে। আমরা ভারত-চীন সুসম্পর্কের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর আমাদের ভালো খবর দেবে বলে আশা করে আছি।
সালারের চুলের ব্যবসায়ী তথা জেলা মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য চন্দন কাজি বলেন, ভারত-চীন ব্যবসা বন্ধ হয়নি এটা ঠিক। তবে বিভিন্ন বাধার কারণে এদেশের সঙ্গে চুলের সরাসরি ব্যবসা বন্ধ রয়েছে। এখানকার চুল ব্যবসায়ীদের অন্য দেশের এজেন্ট মারফত ভায়া হয়ে ব্যবসা করতে হয়। তাই দুই দেশের রাষ্ট্র নেতাদের বৈঠকের দিকেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি। আমরা চাই, দেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের সঙ্গে কথা বলে সেদেশের আমদানি শুল্ক কিছুটা কমিয়ে দিক। তাহলে খুবই উপকার হবে।
ভরতপুরের চুল ব্যবসায়ী সৈয়দ আব্দুল আজিম বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর আমাদের ভালো খবর দেবে বলে তাকিয়ে রয়েছি। আমরা চাই, দুই দেশের সুসম্পর্কে নতুন করে ব্যবসা শুরু হোক। সেটা হলে আমাদের ব্যবসার ফের সুদিন আসবে।