মাটির কাপড়-গয়নায় বিপ্রনগর মিলন সমিতির পুজোয় সজ্জিতা হবেন দেবী
বর্তমান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপ ব্লকের নজরকাড়া দুর্গাপুজো আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম মহেশগঞ্জ বিপ্রনগর মিলন সমিতি। প্রতিবছরই প্রতিমা, মণ্ডপ ও আলোকসজ্জায় নান্দনিক ছোঁয়া এনে দর্শনার্থীদের মন জয় করেন পুজো উদ্যোক্তারা।
স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের এই পুজো ১৯৬১সালে শুরু হয়েছিল। এবছর কাল্পনিক মন্দিরের আদলে মণ্ডপসজ্জা হচ্ছে। যা উচ্চতায় প্রায় ৫০ফুট ও চওড়ায় ৪৪ফুট হবে। মাটির কাপড় ও গয়নার সাজে সজ্জিতা প্রতিমা থাকছে।
উদ্যোক্তারা জানান, প্রথা মেনে সপ্তমীতে দেবীকে ফলফলাদি ও অষ্টমীতে বিশেষ ভোগে অন্ন, পাঁচধরনের ভাজা, পঞ্চব্যঞ্জন, পুষ্পান্ন, পরমান্ন ও মিষ্টি দেওয়া হবে। অষ্টমীতে প্রায় একহাজার মানুষ মণ্ডপ থেকে প্রসাদ পাবেন। নবমীতে ফলফলাদি ও দশমীতে প্রথা মেনে চিঁড়ে, খই, মুড়কি, দই, মিষ্টি নিবেদন করা হয়। বিজয়া দশমীর পর জলঙ্গি নদীতে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়।
পুজো কমিটির সম্পাদক জয় দেবনাথ বলেন, এই এলাকায় প্রায় শতাধিক পরিবারের বসবাস। বেশিরভাগ মানুষই শ্রমজীবী। পুজোর কয়েকদিন তাঁরা আনন্দে মেতে ওঠেন। পুজো মণ্ডপে ভিড়ের কারণে দর্শনার্থীরা যাতে সমস্যায় না পড়েন, সেই জন্য পুজো কমিটির সদস্যরা স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজোয় অনুদান দেওয়ায় আমাদের মতো গ্রামীণ এলাকার মানুষের পুজো আয়োজনের সাহস হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ।
পুজো কমিটির কোষাধ্যক্ষ মিঠুন দেবনাথ বলেন, সুষ্ঠুভাবে পুজো পরিচালনা করতে ক্লাবের সমস্ত সদস্য এগিয়ে আসেন। ক্লাব সদস্য দিলীপ ভৌমিক, সুদীপ দেবনাথ, স্বপন দেবনাথ, মন্টু দেবনাথ, সঞ্জিত দেবনাথ, আনন্দ ঘোষ, গোবিন্দ দেবনাথদের ঐকান্তিক চেষ্টায় সুষ্ঠুভাবে পুজো সম্পন্ন হয়।
স্থানীয় বধূ তনুশ্রী দেবনাথ বলেন, আমাদের পাড়ার সমস্ত মহিলা এই পুজোয় অংশ নেন। দিয়া, সাথী, মন্দিরা, সুখী-আমরা সবাই মিলে পুজোর আয়োজন করে থাকি। মহিলারা পালা করে পুজোর ক’টা দিন উপোস থেকে পুরোহিত মশাইকে সহযোগিতা করেন।
সপ্তমী ও অষ্টমীর সন্ধ্যায় এলাকার কচিকাঁচা ও মহিলাদের নিয়ে মণ্ডপ প্রাঙ্গণে ক্যুইজ, মোমবাতি জ্বালানো, মিউজিক্যাল চেয়ার সহ নানা প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।