তালিকার বাইরে এখনও অনেক ‘দাগি’ অযোগ্য, সুপ্রিম কোর্টে ফিরদৌস শামিম
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে নির্ধারিত সাত দিনের মধ্যেই দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করেছে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেই তালিকায় খুশি নন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, এখনও অনেক অযোগ্য ‘দাগি’ প্রার্থী রয়েছেন এই তালিকার বাইরে। তাঁদের নাম প্রকাশের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। তাঁদের হয়ে মামলা লড়বেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তিনি এসএসসি-র প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
চাকরিহারাদের দাবি, শুধু ওএমআর জালিয়াতি আর র্যাঙ্ক জাম্প নয়, আরও একাধিক বেআইনি নিয়োগ হয়েছে যেগুলো কমিশনের তালিকায় ধরা হয়নি। সুপ্রিম কোর্টের আগের রায় অনুযায়ী নবম-দশমে ৯৯৩ জন এবং একাদশ-দ্বাদশে ৮১০ জনকে অযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কমিশনের শনিবারের তালিকায় এই সংখ্যার সঙ্গে বাস্তব পরিস্থিতির মিল নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন আবেদনকারীরা।
ফিরদৌস শামিমের অভিযোগ, মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁরাও বেআইনি নিয়োগপ্রাপ্ত। তাঁর দাবি, প্যানেলের মেয়াদ এক বছর, কিন্তু তৃতীয় কাউন্সেলিং থেকে নিয়োগের পুরো প্রক্রিয়াই বেআইনি ছিল। আরও অভিযোগ, ১১,৬১০ জনের নাম সুপারিশ করলেও নিয়োগ করা হয়েছে ১২,৯৬৪ জনকে, যা নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে।
শুধু তাই নয়, চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, ২০১৬ সালের নিয়োগে এমন অনেক প্রার্থী আছেন, যাঁদের নাম প্যানেলে ছিল না বা সুপারিশ করা হয়নি, অথচ তাঁরা নিয়োগপত্র পেয়েছেন। তাঁদের নামও প্রকাশের দাবি জানানো হবে আদালতে।
এসএসসি অবশ্য চাকরিহারাদের এই দাবির সঙ্গে একমত নয়। কমিশনের বক্তব্য, প্রকাশিত তালিকা আইন অনুযায়ী সঠিকভাবেই তৈরি করা হয়েছে। আপাতত অযোগ্য তালিকার বাইরের নতুন কোনও নাম যুক্ত করার পরিকল্পনা নেই।
চাকরিহারাদের আইনজীবী শামিম জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হবে যাতে আদালত এই নিয়োগে বাকি থাকা অযোগ্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশের নির্দেশ দেন। আদালতে শুনানির পরই স্পষ্ট হবে, কমিশনকে নতুন করে তালিকা সংশোধন করতে হবে কি না।