অফিসের মহিলা সহকর্মী পরকীয়ায় জড়িত, গোপনে বরকে জানাতে এ কী পদক্ষেপ যুবকের? এমন মন্তব্য করে বসলেন উত্তাল নেটপাড়া ...
আজকাল | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন সহকর্মীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে করা একটি পোস্ট ঘিরে তীব্র বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এই পোস্টটি করা হয়েছে৷ সেখানে আয়ুষ সিংহ নামের এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, 'আমার অফিসে একজন মেয়ে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে, আমি কীভাবে ওর স্বামীকে জানাবো? আমি ওকে চিনি না, কিন্তু আমি ওকে সতর্ক করতে চাই।' আর এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই টুইটটি দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। ঘটনার জেরে ব্যবহারকারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই এহেন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে হস্তক্ষেপ না করার পরামর্শ দিয়েছেন। একজন মন্তব্য করে বলেন, 'কেন? এতে তোমার কী সমস্যা?' আরেকজন সাবধান বার্তা দিয়ে বলেন, 'অন্যের জীবনে নাক গলিও না, পরে তোমারই বিপদ হতে পারে।'
কেউ কেউ এ ধরনের হস্তক্ষেপের ঝুঁকি নিয়েও সতর্ক করেছেন। একজন লিখেছেন, 'যদি ওর স্বামী তোমার কথা বিশ্বাস না করে এবং তোমার ওপর হামলা করে, তখন কী করবে?' আবার কেউ কেউ বিকল্প পরামর্শও দিয়েছেন -যেমন, সম্পর্কের অন্য পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা বা বিষয়টি অফিসে প্রভাব ফেললে এইচ আর বিভাগে জানানো।
এই ঘটনাটি ইতিমধ্যেই অনলাইনে একটি বড় আলোচনা তৈরি করেছে, যেখানে সীমারেখা, গোপনীয়তা এবং সহকর্মীর ব্যক্তিগত সম্পর্কে হস্তক্ষেপ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত - তা নিয়ে নানা মতামত উঠে আসছে।
প্রসঙ্গত, একটি অন্য ঘটনায় ২৩ বছর বয়সী এক যুবতী, যিনি একজন অডিটর হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে বহিরাগত কর্মী হিসেবে কাজ করছেন, তিনি জানান তাঁর কর্মক্ষেত্রে তিনি 'বুলিং ও অপমানের' শিকার হয়েছেন। রেডিট ( Reddit) এর r/indianworkplace সাবরেডিটে পুকি ('pookie') নামক ইউজারনেমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, ফাঁকা সময়ে একদল সহকর্মী তাঁকে ঘিরে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করতে থাকেন, একইসঙ্গে বলেন, 'কুত্তে বইঠা দিয়ে হে হামারে পিছে'—এর অর্থ, আমাদের পেছনে নজরদারি করতে কুকুর বসানো হয়েছে।
ঘটনার প্রেক্ষিতে ওই যুবতী জানান, লাঞ্চ ব্রেক চলাকালীন হঠাৎ পুরো দল 'অডিট' বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। আর ঠিক তখনই একজন সহকর্মী তাঁর দিকে ইঙ্গিত করে অপমানজনক মন্তব্য করেন এবং বাকিরা হেসে ওঠেন ও তাঁকে নিয়ে ঈশারা ইঙ্গিত করতে থাকেন।
এই ঘটনার পর তিনি নিজেকে চরম অপমানিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বলে জানান। যুবতীর এহেন চাঞ্চল্যকর অভিজ্ঞতা আরও একবার কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের মধ্যে সম্মান, পেশাদারিত্ব এবং আচরণবিধি নিয়ে নতুন করে আলোচনার দরজা খুলে দিয়েছে।