স্কুলের উদ্যোগে করতে হবে মাছ চাষ, মিড ডে মিলের স্বাদ বদলে নির্দেশ সমগ্র শিক্ষা মিশনের
প্রতিদিন | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
স্টাফ রিপোর্টার: এবার কি মিড-ডে মিলের পাতে পড়তে চলেছে মাছ! মিড-ডে মিল নিয়ে সমগ্র শিক্ষা মিশন যে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে তাতে বলা হয়েছে, সবজির পাশাপাশি স্কুল প্রাঙ্গণ বা সংলগ্ন জমির পুকুরে মাছ চাষ করতে হবে এবং সেই মাছ মিড-ডে মিলে দিতে হবে। এর আগে স্কুলের জমিতে সবজি চাষ করছে অনেক স্কুল। সেই সবজি মিড-ডে মিলে দেওয়াও হয়। এবার স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যাহ্নভোজনে মাছ নতুন করে সংযোজন হতে চলেছে। মিড-ডে মিলের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যেসব স্কুল প্রাঙ্গণে পুকুর রয়েছে সেখানে মাছ চাষ শুরু করে দিতে হবে। যেখানে খোলা মাঠ রয়েছে, সেখানে খেলার মাঠ অবশিষ্ট রেখে বাড়তি জায়গায় পুকুর খনন করে মাছ চাষ করতে হবে।
কিন্তু মাছ চাষের খরচ কে জোগাবে, এনিয়ে প্রশ্ন থাকায় সমগ্র শিক্ষা মিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, এটা মনে রেখেই মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা আমরা করব। মৎস্য দপ্তর বিনামূল্যে মাছ চাষের প্রশিক্ষণ দেয় এবং ছোট চারাপোনা মাছও দেয়। এই সহযোগিতা যাতে স্কুলগুলিকে দেওয়া হয় তারজন্য শীঘ্রই শিক্ষা দপ্তর ও মৎস্য দপ্তরের আধিকারিকরা কথা বলবেন। উত্তর ২৪ পরগনার এক স্কুলের মিড-ডে মিলের গুণমান যাচাই করতে গিয়ে মাছ চাষের বিষয়টি ভাবনায় আসে পরিদর্শক দলের। উত্তর ২৪ পরগনার কনকনগর সৃষ্টিধর ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন ওই পরিদর্শক দল। সেখানে তাঁরা দেখতে পান, পড়ুয়াদের মিড-ডে মিলের পাতে মাছ দেওয়া হয়েছে।
পরে খোঁজ নিয়ে পরিদর্শক দল জানতে পারে, ওই স্কুলের নিজের জমিতেই পুকুর খনন করা হয়েছে এবং সেখানে মাছ চাষ করা হয়। পড়ুয়াদের সেই মাছ পরিবেশনও করা হয়। তারপরেই বিষয়টি নিয়ে বিকাশ ভবনে আলোচনা শুরু হয়। ঠিক হয়, যেসব স্কুলে পুকুর রয়েছে বা পুকুর খননের জায়গা রয়েছে সেখানে মাছ চাষ করা হবে। মিড-ডে মিলের সঙ্গে যুক্ত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আমাদের উদ্দেশ্য হল স্কুল পড়ুয়াদের সুষম পুষ্টিকর খাবার তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা। ডিম একটি পুষ্টিকর খাদ্য। মাছও পুষ্টিকর। তাছাড়া মিড-ডে মিলের পাতে পড়ুয়াদের মাছ পড়লে তাদের স্বাদও মাঝমধ্যে বদল হবে। তবে সব স্কুলে তো মাছ চাষ সম্ভব নয়, যেখানে সম্ভব সেই স্কুলগুলিকে মাছ চাষ করতে বলা হয়েছে।