জলপাইগুড়ি থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন! প্রকৃতির ‘উপহার’ দেখে উচ্ছ্বসিত বাসিন্দারা
প্রতিদিন | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: এ যেন প্রকৃতির ‘সারপ্রাইজ গিফট’! আচমকাই নিজের সৌন্দর্য প্রকাশ করেছে। ভরা ভাদ্রে জলপাইগুড়ি থেকে স্পষ্ট দেখা গেল কাঞ্চনজঙ্ঘার অপরূপ সৌন্দর্য। পুজোর মাসের প্রথম দিন ঘুম ভাঙতেই জলপাইগুড়িবাসীর চোখের সামনে ভেসে উঠল বরফমোড়া পাহাড়চূড়া, যা ‘স্লিপিং বুদ্ধ’ বলে বহুল প্রচলিত ও জনপ্রিয়। অসময়ে এমন রূপদর্শন করে আপ্লুত বাসিন্দারা। কেউ কেউ ক্যামেরায় ধরে রাখলেন কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের স্মৃতি। আর তা হু হু করে ছড়িয়ে পড়েছে সোশাল মিডিয়ায়। এ যে বিরল দৃশ্য!
ক্যালেন্ডারের পাতায় বর্ষা বিদায় নিয়ে শরৎ সবে এসেছে। তবে প্রকৃতিতে তার প্রকাশ তেমন নেই। এখনও বঙ্গে বর্ষণ অব্যাহত। দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গে মাঝেমধ্যেই মেঘলা আকাশ, সেইসঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি চলছেই। কখনও আবার রোদ্দুরের তাপ মনে করাচ্ছে গ্রীষ্মকালকে। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকছে প্রায় রোজই। এমন আবহাওয়ায় মেঘের আড়াল সরিয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনের কথা কেউ বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারছেন না। বিশেষত যেখানে গত মাস থেকে মুখ ঢেকেছিল বাংলার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
কিন্তু কথায় আছে, সত্য কল্পনার চেয়েও বিস্ময়কর! তাই সেপ্টেম্বরের পয়লা দিনেই প্রকৃতির উপহারস্বরূপ মুখ দেখাল কাঞ্চনজঙ্ঘা। ভাদ্রের প্যাচপ্যাচে গরমে শীতল অনুভূতি যেন। ঘুম ভাঙতেই চোখ আটকে গেল বরফে মোড়া পাহাড়চূড়ার ‘ঘুমন্ত বুদ্ধে’। জলপাইগুড়ি থেকে দেখা মিলল কাঞ্চনজঙ্ঘার। সোমবার সকালে জলপাইগুড়ি শহর ও সংলগ্ন তিস্তাপাড়, স্পোর্টস কমপ্লেক্স, রাজবাড়ি দিঘি, রেল স্টেশন, কর্পোরেশন রোড থেকে খালি চোখে স্পষ্ট দর্শন করলেন বাসিন্দারা। সাধারণত আশ্বিন কিংবা কার্তিক মাসে জলপাইগুড়ি শহর ও সংলগ্ন এলাকা থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার মনোমুগ্ধকর রূপ দেখা যায়। কিন্তু এবছর সেপ্টেম্বরের প্রথম দিনেই বরফে ঢাকা পাহাড়ে সোনার মতো চূড়া দেখতে পেয়ে আপ্লুত সকলে। হাতের নাগালে হিমালয়কে এভাবে পেয়ে অপরূপ এই দৃশ্য মোবাইলে বন্দি করে রাখলেন অনেকেই। পুজোর আগে এ প্রকৃতির উপহার, এমনই মনে করছে তাঁরা।