কৃষ্ণনগরের ১৯ বছরের ছাত্রী ঈশিতাকে খুনের আগে রেইকি করেছিল মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। রীতিমতো ছক কষেই সে ঢুকেছিল ঈশিতার বাড়িতে, সোমবার এই তথ্য দিয়েছে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার অমরনাথ কে। রবিবার রাতে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জ জেলার নৌতানবা বেরিয়াপাসা এলাকায় ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় দেশরাজকে। ইতিমধ্যেই তাকে কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় আনা হয়েছে। কী ভাবে এবং কেন ঈশিতাকে খুন করল সে? ‘এসকেপ প্ল্যান’ কি আগে থেকেই তৈরি করা ছিল? প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের হাতে এসেছে নয়া তথ্য।
এ দিন পুলিশ দাবি করেছে, দেশরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় পিস্তলের ছবি পোস্ট করে ভয় দেখিয়েছিল ঈশিতাকে। পোস্টে লিখেছিল, ‘ডেড বডি সুন’। কিন্তু ঈশিতা বিষয়টি নিয়ে মাথা ঘামাননি। তিনি বা পরিবারের কেউ পুলিশে তখন অভিযোগ জানাননি। ছয়-সাত মাস আগে ঈশিতার সঙ্গে দেশরাজের সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছিল। তা মানতে চায়নি দেশরাজ। প্রতিশোধ নিতেই সে খুন করে। ২৫ অগস্ট কৃষ্ণনগর পালপাড়ার বাড়িতে ঢুকে ঈশিতাকে তিনটি গুলি করার পরে তাঁর মাকেও টার্গেট করে সে। কিন্তু গুলি না চলায় তিনি প্রাণে বাঁচেন।
খুনের পরে নিজের বাবাকে ফোন করে দেশরাজ। তার বাবা বিএসএফ-এর কর্মী। ছেলেকে গা ঢাকা দিতে তিনি সাহায্য করেছিলেন বলে সন্দেহ পুলিশের। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, নৈহাটি থেকে হাওড়া হয়ে দুন এক্সপ্রেস ধরেছিল সে। তার পরে সে অযোধ্যা পৌঁছেছিল। সীমান্ত হয়ে নেপালে গা ঢাকার পরিকল্পনা করছিল সে। কিন্তু দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে গ্রেপ্তারের পরে তাঁর থেকে একাধিক তথ্য পায় পুলিশ। এর পরে রবিবার গভীর রাতে গ্রেপ্তার হয় সে।