• আন্দোলনের সমাপ্তি! পুজোর মাসের প্রথম দিন থেকে সরডিহায় থামছে টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস
    আনন্দবাজার | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • রেললাইনে অবরোধ থেকে বিক্ষোভ, কী হয়নি! অবশেষে কাজ হল। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ঝাড়গ্রামের সরডিহা রেলস্টেশনে থামল স্টিল এক্সপ্রেস। সোমবার সকালে টাটানগর-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য সরডিহা স্টেশনে সবুজ পতাকা নাড়লেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কালীপদ সরেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর থেকে সরডিহা রেলস্টেশনে আগের মতো দাঁড়াবে টাটানগর-হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস।

    ওই এক্সপ্রেস ট্রেনটি আগেও সরডিহা স্টেশনে দাঁড়াত। কিন্তু করোনা পর্বে অজ্ঞাত কারণে হঠাৎ স্টপেজ তুলে নেওয়া হয়। তার পর দীর্ঘ আন্দোলন হয়েছে। রেলপথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় মানুষজন। শেষমেশ রেল জানায়, আগের মতোই সরডিহায় দাঁড়াবে স্টিল এক্সপ্রেস।

    সোমবার তার সূচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কাউন্সিলর তথা ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অজিত মাহাতো, সরডিহা স্টেশনে স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবিতে আন্দোলন করা ওই এলাকার বাসিন্দা, জেলা তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি মহাশিস মাহাতো। তিনি বলেন, ‘‘দীর্ঘ আন্দোলনের সমাপ্তি হল আজ। একাধিক বার রেল অবরোধে শামিল হওয়ায় আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কিন্তু আমি থামিনি। সরডিহা, লোধাশুলি, মানিকপাড়া, বালিভাষা, গোপীবল্লভপুর-সহ ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন এলাকার মানুষ স্টিল এক্সপ্রেসে হাওড়া অথবা টাটানগর যাতায়াত করেন। করোনা পরিস্থিতিতে স্টপেজ তুলে নেওয়ায় সমস্যায় পড়েন সকলে। গাড়িভাড়া করে খড়্গপুর অথবা ঝাড়গ্রামে গিয়ে ট্রেন ধরতে হত। পুনরায় স্টপেজ ফিরিয়ে দেওয়ায় রেলকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’’

    সরডিহা রেলস্টেশনে স্টিল এক্সপ্রেসের স্টপেজের দাবিতে রেলের প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ঝাড়গ্রামের সংসদ। লোকসভাতেও তিনি এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। সোমবার কালীপদ বলেন, ‘‘স্টপেজের জন্য এলাকার মানুষজন আমাকে একাধিক বার জানিয়েছিলেন। রেলের সঙ্গে যে কোনও আলোচনা এবং বৈঠকে আমি সেই দাবি তুলে ধরেছিলাম। আজ (সোমবার) থেকে স্টিল এক্সপ্রেস সরডিহায় স্টপেজ চালু করল আবার। এ জন্য ওদের ধন্যবাদ জানালাম।’’

    খড়্গপুর ডিভিশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই এক্সপ্রেস ট্রেনটি টাটানগর এবং হাওড়ার মধ্যে যাতায়াত করে। প্রতিদিন সকালে টাটানগর থেকে ট্রেনটি ছাড়ে। দুপুরে পৌঁছোয় হাওড়া স্টেশনে। বিকেলে আবার হাওড়া থেকে যাত্রা শুরু করে। রাতে পৌঁছোয় টাটানগরে। জেলার মানুষ তো বটেই, কলকাতা শহর থেকে ঝাড়খণ্ডের প্রচুর মানুষ এই ট্রেনে যাত্রা করেন।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)