• বক্সায় শুরু হতে পারে হাতি সাফারি
    আনন্দবাজার | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • বক্সার জঙ্গলেও এ বার হাতি সাফারির পরিকল্পনা। বন দফতর সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই জলদাপাড়া থেকে জঙ্গল সাফারির জন্য দু’টি কুনকি হাতি নিয়ে যাওয়া হবে বক্সায়। তার পরে একাধিক রুটে পরীক্ষার পরেই ব্যাঘ্র প্রকল্পের কোন এলাকায় পর্যটকদের হাতির পিঠে সাফারি চালু হবে, তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে বন দফতর সূত্রের খবর।

    এই মুহূর্তে জলদাপাড়া-সহ উত্তরবঙ্গের একাধিক বনাঞ্চলে হাতি সাফারি চালু রয়েছে। যার মধ্যে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের হলংয়ে বহু দিন ধরেই হাতি সাফারি চালু রয়েছে। পরে ওই জাতীয় উদ্যানের শালকুমার গেট ও কোদালবস্তি থেকেও হাতি সাফারি চালু হয়। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা তো বটেই, দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরাও জলদাপাড়ায় এসে হাতি সাফারি উপভোগ করেন। কিন্তু বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে কার সাফারি চালু থাকলেও, হাতি সাফারির ব্যবস্থা না থাকায়, কিছুটা হলেও হতাশ ছিলেন উত্তরের এই বনাঞ্চলে ঘুরতে আসা পর্যটকেরা। সব কিছু ঠিক থাকলে, শীঘ্রই হয়তো পর্যটকদের সবার জন্যই খুশির খবর অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন বন কর্তাদের একাংশ।যদিও এ নিয়ে এক্ষুনি প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ বন দফতরের শীর্ষ কর্তারা। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা অপূর্ব সেন বলেন, “বিষয়টি আগে চূড়ান্ত হোক। তার পরে এ নিয়ে বলব। এক্ষুনি নয়।”

    বন দফতরের একটি সূত্রের খবর, বক্সায় হাতি সাফারি চালু করতে সেখানে এর সঙ্গে যুক্ত অভিজ্ঞ দুটি কুনকি হাতি নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু সেই হাতিগুলোকে বক্সায় নিয়ে আসা হলে, কোথায় তাদের রাখা হবে, সেই নিয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে। প্রাথমিক ভাবে সেটাও ভাবা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বক্সার বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “হাতি সাফারিতে অভিজ্ঞ দুটি কুনকি হাতি জলদাপাড়া থেকে নেওয়া হবে। তার পরে বক্সার বিভিন্ন রুটে ভাল করে পরীক্ষার পরে কোন এলাকায় পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারি চালু হবে সেটা চূড়ান্ত করা হবে।” ফলে গোটা বিষয়টি চালু হতে খানিকটা সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি।

    টানা তিন মাস বন্ধ থাকার পর চলতি মাসের ১৫সেপ্টেম্বর পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে বনাঞ্চল। ঠিক তার আগে বক্সায় নতুন এই উদ্যোগের পরিকল্পনার কথা জেনে খুশি পর্যটন মহলও।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)