টানা বৃষ্টিতে খেত ডুবে গিয়েছিল। অনেক জায়গায় খেতের জল নামতে সময় লাগায় ক্ষতি হয়েছিল আনাজের। এর জেরে আনাজের দামে আগুন।
সপ্তাহ দুয়েক আগে জেলার বিভিন্ন বাজারে পটলের খুচরো দাম ছিল কেজি প্রতি ২০ টাকা। এখন তার দাম ৬০-৮০ টাকা। শসা, বেগুন, কাঁকরোলের দাম ৭৫-৮০ টাকা, ঢেঁড়স, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ওল ৬০-৭০ টাকা, কুমড়ো ৪০ টাকা কেজি। কাঁচালঙ্কা ১৪০-১৫০ টাকা। চাষিদের একাংশের দাবি, বৃষ্টিতে আনাজ খেতে জল জমেছিল। তাতে ক্ষতি হয়েছে। তবে বিভাস মণ্ডল নামে এক চাষি বলেন, “আনাজের দাম বেড়েছে ঠিকই। তবে আমাদের লাভ হচ্ছে না। ফড়েরা লাভের গুড় খাচ্ছে।”
রঘুনাথগঞ্জের বাজারে চড়া আলু, পেঁয়াজ। আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়, পেঁয়াজের দাম ৪০ টাকা প্রতি কেজি। করলা, ওল, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা। কাঁচালঙ্কা ১৪০ টাকা। বহরমপুরের ব্যবসায়ী সেলিম শেখ বলেন, ‘‘আনাজ খেতের ক্ষতি হয়েছে। টান বাজারে, জোগানেও টান পড়ছে।’’
বহরমপুরের নতুনবাজার ও কদবেলতলায় আনাজের খুচরো বাজার দর আলু ২০-২৫ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ২৫-৩০ টাকা, পটল ৭০-৮০ টাকা, বেগুন ৮০-১০০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, কুমড়ো ৩০-৪০ টাকা। কান্দি মহকুমার বিভিন্ন বাজারে আলু ১৬ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ২৫ টাকা, পটল ৮০ টাকা। সারগাছি ধান্যগঙ্গা কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ চন্দা সাহা পারিয়া বলেন, “আনাজ খেতে জল জমতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে কীটনাশক, ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করতে হবে।’’