• কারখানার সঙ্গেই ঝাঁপ পড়ে দু’টি স্কুলে, চালু করার আর্জি
    আনন্দবাজার | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • দু’দশকের বেশি সময় বন্ধ দু’টি স্কুল—

    এমএএমসি বয়েজ হাই স্কুল (উচ্চ মাধ্যমিক) ও গার্লস হাই স্কুল (উচ্চ মাধ্যমিক)। এমএএমসি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝঁাপ পড়ে সেগুলিতে। দুর্গাপুরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই স্কুল দু’টি ফের চালুর দাবিতে প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিয়ে ২০১৫ সালে গড়ে উঠেছে প্রাক্তনী সংগঠন ‘প্রচেষ্টা’।

    তৈরি হয়েছিল ১৯৭০ সালে। এক সময়ে প্রায় তিন হাজার ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করত। পরের দিকে শহরে ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। রুগ্‌ণ হতে থাকে এমএএমসি কারখানাও। কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে স্কুলটি উঠে যায়। প্রচেষ্টা সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুল দু’টি খোলার দাবি জানিয়ে জেলা প্রশাসন, জেলা শিক্ষা দফতর ও মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে বহু বছর আগে। শিক্ষা দফতরের তরফে প্রতিনিধি দল স্কুল দু’টি পরিদর্শন করে গিয়েছে। প্রতিনিধি দল রিপোর্টে উল্লেখ করে, এলাকার চারটি প্রাথমিক স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৮০০। আরও প্রায় ১০টি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে আশপাশে। কিন্তু ছ’কিলোমিটারের মধ্যে কোনও বাংলা বা হিন্দি মাধ্যম সরকারি হাই স্কুল নেই। ফলে প্রাথমিকের পড়াশোনা শেষে ১০-১৫ বছরের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনা করতে সমস্যায় পড়তে হয়। সংগঠনের ক্ষোভ, তবে স্কুল খোলার বিষয়ে তেমন কোনও অগ্রগতি নজরে আসেনি এখনও। প্রচেষ্টার তরফে শান্তি কুণ্ডু বলেন, “এলাকায় কোনও সরকারি বিদ্যালয় নেই। ফলে দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনায় সমস্যা হচ্ছে। আশপাশে হিন্দি ভাষাভাষী মানুষও রয়েছেন। তাই একই সঙ্গে বাংলা ও হিন্দি মাধ্যমে স্কুল চালুর দাবি রয়েছে আমাদের। ফের স্কুল চালু হলে এলাকার অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রীরা উপকৃত হবে।”

    ২০০২ সালে এমএএমসি কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরের বছর, আদালতের নির্দেশে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে টাউনশিপ দেখভালের দায়িত্ব পায় আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ (এডিডিএ)। এডিডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, স্কুল চালুর বিষয়ে তাঁদের কোনও আপত্তি না থাকার(‌নো অবজেকশন) কথা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের (মাধ্যমিক) দফতর থেকে স্কুল শিক্ষা বিভাগের কমিশনারকে চিঠি দিয়ে বাংলা ও হিন্দি মাধ্যমে জুনিয়র হাই স্কুল হিসেবে ফের চালুর প্রস্তাব পাঠানো হয়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকে স্কুল চালুর আর্জি জানিয়ে স্কুল শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত সচিবের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

    সম্প্রতি সংগঠনের সদস্যেরা মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে স্কুল খোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আর্জি জানান। সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন মন্ত্রী প্রদীপ।
  • Link to this news (আনন্দবাজার)