• ‘সেনার অপব্যবহার করা হলো…’, ভাঙা মঞ্চে দাঁড়িয়ে BJP-কে ঝাঁঝালো আক্রমণ মমতার
    এই সময় | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বাংলাভাষীদের উপর হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার ও রবিবার প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ, সেনা কর্মীরা এসে আজ, সোমবার সেই মঞ্চ ভেঙে দেয়। খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে ভাঙা মঞ্চে দাঁড়িয়েই মমতা বলেন, ‘আমি সেনাকে দোষারোপ করছি না, বিজেপিকে দোষারোপ করছি।’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কথায় এটা করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

    বিজেপির নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিবাদ সভা ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা। তিনি বলেন, ‘আমার একটাই কথা – এখানে গাড়ি চলাচলের অসুবিধা নেই। শনি ও রবিবার প্রতিবাদ সভা হয়। আমাদের পারমিশন নেওয়া ছিল। প্রয়োজনে পুলিশকে বলত। দরকার হলে পুলিশ প্যান্ডেল খুলে দিতে পারত। আমরাই সভা অন্যত্র সরিয়ে দিতে পারতাম।’ সেনা কর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘এটা আপনাদের দোষ নয়। দিল্লির কথায়, বিজেপি কথায় এটা করা হয়েছে।… সমস্ত এজেন্সিকে অপব্যবহার করা হচ্ছিল। ভেবেছিলাম, সেনাকে অপব্যবহার করবে না। কিন্তু সেনারও অপব্যবহার করা হলো।’

    গান্ধী মূর্তির ওই মঞ্চ সরিয়ে অন্যত্র করার ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানান, এর পরে রানি রাসমণি রোডে সভার আয়োজন করা হবে। তাঁর কথায়, ‘ধর্না আমাদের চলবে, আটকানোর ক্ষমতা বিজেপির নেই। এর বিরুদ্ধে সব ব্লক ওয়ার্ডে পঞ্চায়েতে প্রতিবাদ হবে। রানি রাসমণিতে কাল থেকে কর্মসূচি হবে। এখন প্রতিদিন হবে।’

    বাংলা ভাষার অপমান এবং ভিন রাজ্যে (তৃণমূলের দাবি, বিজেপিশাসিত রাজ্যে) একের পর এক বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে হেনস্থার ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এই সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ২১ জুলাইয়ের সভা থেকেই এই আন্দোলন কর্মসূচির ডাক দিয়েছিলেন মমতা। প্রতি শনি ও রবিবার তৃণমূল নেতৃত্ব এই সভায় হাজির হতেন। 

    জানা গিয়েছে, ৩১ অগস্ট পর্যন্ত এই সভার অনুমতি নেওয়া ছিল। সেই কারণেই সোমবার একদল সেনা কর্মী গিয়ে ওই মঞ্চ খুলে দেওয়ার কাজ শুরু করে। তবে পাল্টা মমতা বলেন, ‘আমাদের বললে এই মঞ্চ আমরা নিজেরাই খুলে দিতে পারতাম। মঞ্চ ভাঙা আর্মির কাজ নয়। ওঁরা পুলিশকে বলতে পারত।’

  • Link to this news (এই সময়)