স্কুটিতে চাপ চাপ রক্ত, ডোবা থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার!
আজকাল | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: হলুদ স্কুটিতে চাপ চাপ রক্ত,কিছুটা দূরের ডোবা থেকে উদ্ধার যুবকের মৃতদেহ! চাঞ্চল্য হুগলির চন্ডীতলার হাটপুকুর এলাকায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,রবিবার রাত আটটা নাগাদ স্থানীয়দের নজরে আসে রাস্তার পাশে একটি হলুদ রঙের স্কুটি দাঁড়িয়ে থাকতে।স্কুটির গায়ে লেগে চাপ চাপ রক্ত। যা দেখে রহস্য ঘনিভূত হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান,তারা হাট পুকুর মোরে বসে ছিলেন। তখন কেউ এসে রক্ত মাখা স্কুটির খবর দেয়।আমরা গিয়ে দেখি। সেই রক্তের ফোঁটা ফোঁটা দাগ একটা ডোবা পর্যন্ত গেছে।তারপর আর কিছু দেখা যায়নি।
স্কুটির পাশে পড়েছিল একটি অ্যাসিডের ভাঙা বোতল। আমরা পুলিশকে খবর দিই। চন্ডীতলা থানার পুলিশ আসে।খোঁজাখুঁজি শুরু করে।রাত সারে দশটার পর ডোবা থেকে উদ্ধার হয় যুবকের মৃতদেহ।তার গলায় গভীর ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। যুবক রাজ মিস্ত্রীর কাজ করত বলে জানা গেছে। যুবকের মৃত্যু রহস্য জনক।কি ভাবে মৃত্যু তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে একটি হেডফোন,রক্তমাখা চটি ও স্কুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, হুগলিরই চন্দননগরের বাসিন্দা নৃত্যশিল্পী ও ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট পেশাদার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জেলা। সোমবার ভোরে পূর্ব বর্ধমানের পানাগড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। পুলিশের কাছে ড্রাইভার রাজদেও শর্মা জানান, রবিবার রাতে পেশাগত কারণে চন্দননগর থেকে বিহারের গয়া যাচ্ছিলেন তাঁরা। পূর্ব বর্ধমান জেলার বুদবুদে জাতীয় সড়কের ধারে একটি পেট্রল পাম্পে গাড়ি থামানো হয়। অভিযোগ, সেখানে কয়েকজন মদ্যপ যুবক সুতন্দ্রাকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করে। যদিও তাঁরা প্রতিবাদ না করে গাড়ি নিয়ে রওনা দেন, কিন্তু অভিযুক্তরা ধাওয়া করতে শুরু করে।
সহকর্মী মিণ্টু মণ্ডল জানান, ‘‘শুরু থেকেই ওরা অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করছিল। আমরা ভেবেছিলাম এড়িয়ে গেলে ব্যাপারটা থেমে যাবে। কিন্তু তারাই বারবার গাড়ি আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে।’’ পানাগড়ের কাছে পৌঁছনোর পর পিছন থেকে ধাওয়া করা গাড়ি তাঁদের সামনে এসে বারবার পথ আটকাতে থাকে। প্রাণ বাঁচাতে ড্রাইভার হঠাৎ সার্ভিস রোডে ঢোকার চেষ্টা করলে নিয়ন্ত্রণ হারান। গাড়িটি একটি পাবলিক ইউরিনাল ও লোহার দোকানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের। গাড়ির বাকি চার যাত্রী minor চোট পান। ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্তদের ব্যবহৃত গাড়ি আটক করেছে। তবে অভিযুক্তরা এখনও পলাতক। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একদিকে রহস্যজনক খুন, অন্যদিকে নাচ শিল্পীর মর্মান্তিক দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু—দুই ঘটনায়ই হুগলি জেলায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।