• খুনি দেশরাজকে গা ঢাকতে সাহায্য করেছিল বিএসএফ বাবাও... নেপালে পালানোর আগেই...
    ২৪ ঘন্টা | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • পিয়ালী মিত্র: অবশেষে ৭ দিনের মাথায় কৃষ্ণনগরে ঈশিতা খুনে পুলিসের জালে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত দেশরাজ সিং। খুনের পর বাবা-মামা-সহ দেশরাজকে পালাতে সাহায্য একাধিক আত্মীয়রা। পুলিসকে ঘোল খাওয়াতে একাধিক ফন্দি এঁটেও হল না শেষরক্ষা। নেপালে পালানোর আগেই পুলিলের জালে দেশরাজ সিং। নেপাল সীমান্তের বেরিয়াবাসা থেকে গ্রেফতার দেশরাজ।

    খুনে অভিযুক্ত ছেলেকে সাহায্যের অভিযোগে পুলিসের জালে দেশরাজের বিএসএফ কর্মী বাবাও। ইতিমধ্যেই রাজস্থানের বিএসএফ ক‍্যাম্পে তাঁকে হাউস অ‍্যারেস্ট করে রাখা হয়েছে। জারি হয়েছে ওয়ারেন্ট। খুব শীঘ্রই রাঘবেন্দ্র প্রতাপ সিং হেফাজতে নেবে পুলিস। 

    খুনের পর কীভাবে পালায় দেশরাজ?


    পুলিস জানাচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুরে খুনের পর নৈহাটি থেকে ট্রেনে ধরে হাওড়া পৌঁছয়। সেখান থেকে ধরে ট্রেন। তারপর সেখান থেকে ট্রেনে করে পৌঁছয় অযোধ্যা। তারপর অযোধ্যা থেকে উত্তরপ্রদেশে মহারাজগন্জের বেরিয়াবাসায় পৌঁছয়।

    খুনের পর থেকে বাবা, মামা সহ আত্মীয়দের যোগাযোগ ছিল। মামা পালাতে সাহায্য করে। মামা কুলদীপ গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর মোবাইলে বেশ কিছু ফেক আধার কার্ড পাওয়া যায়। যেখানে মহারাজগন্জের ঠিকানা ছিল। মামার মেয়ো দেশরাজের নামে ভুয়ো আধার কার্ড বানিয়ে দেয়। 

    খুনি ছেলেকে সাহায্য বাবারও…


    অযোধ্যা থেকে ছেলেকে নতুন ফোন কিনে দিয়েছিল দেশরাজের বাবা। এমনকী, এক হোটেল কর্মীকে গুগল পে করে টাকাও পাঠায় রাঘেবেন্দ্র।

    ওয়াইফাই অন করে ফেলে দেয় ফোন…


    একদিকে পুলিসকে বিভ্রান্ত করতে বারবার যানবহন বদল করতে থাকে। তেমনই বাবার কিনে দেওয়া নতুন ফোন ওয়াইফাই অন করে অযোধ্যাতে ফেলে দেয়। যাতে পুলিস মনে করে সে অযোধ্যাতে রয়েছে। অথচ তার আগেই অযোধ্যা ছেড়ে পালিয়েছিল সে। 

    ৬-৭ মাস আগেই ঈশিতাকে খুনের পরিকল্পনা: 


    সম্পর্ক বিছিন্ন হওয়ার পর থেকে খুনের পরিকল্পনা করতে থাকে দেশরাজ। এমনকী কয়েকমাস আগে হোয়াটসঅ‍্যাপে একটি অস্ত্রের ছবি দিয়ে পোস্ট করে Very Soon বলে। খুনের আগে রেইকিও করে অভিযুক্ত।

    গোটা পরিবারকে খুনের ছক দেশরাজের:


    শুধু ঈশিতাকে খুন নয়। তাঁর পরিবারের বাকি সদস্যদের খুনের পরিকল্পনা ছিল অভিযুক্তের। সে কারণে ঈশিতার মাথায় তিনটে গুলি করে খুনের পর সেখানে বসে অপেক্ষা করতে থাকে দেশরাজ। কারণ রেইকি করে সে আগেই জেলে ছিল। ঈশিতার মা তার ভাইকে স্কুল থেকে ফেরে দুপুরে। তার মা ফিরলে মায়ের মাথাতেও বন্দুক ধরে। যদিও গুলি না চলায় মা ও ভাইকে খুনের পরিকল্পনা সফল হয়নি।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)