জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: শহরে নজিরবিহীন কাণ্ড। ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে তৃণমূলের মঞ্চ খুলে দিল সেনা। 'সেনাকে দিয়ে প্যান্ডেল খুলিয়েছে', মেয়ো রোডে গিয়ে বিজেপিকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার থেকে রানি রাসমণি এভিনিউয়ে চলবে কর্মসূচি।
ভিনরাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার প্রতিবাদে তৃণমূলের 'ভাষা আন্দোলন'। শহরের প্রাণকেন্দ্রে ধর্মতলায় বাঁধা হয়েছিল মঞ্চ। আজ, সোমবার দুপুরে হঠাত্-ই সেই মঞ্চটি খুলে দিলেন সেনা আধিকারিকরা। সরিয়ে দেওয়া হল ব্যারিকেডও। সেনা সূত্রে খবর, গান্ধীমূর্তি পাদদেশে ৩ দিন কর্মসূচির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। পরে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু ৩০ অগাস্টের পর আর সময় দিতে নারাজ সেনা।
এদিকে খবর পেয়ে তড়ঘড়ি মেয়ো রোডে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'প্যান্ডেল সেনাকে দিয়ে খুলিয়েছে। আমার সেনার বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ নেই। কারণ, আমরা সেনাকে নিয়ে গর্বিত। কিন্তু সেনাকে যখন বিজেপির কথায় চলতে হয়, তখন দেশটা কোথায় যায়, তা নিয়ে সন্দেহ জাগে'! জানান, 'কোনও রাস্তা বন্ধ নেই। আমাদের কর্মসূচি শনিবার, রবিবার ২ দিন করে হয়। বিভিন্ন সংস্থার ভাষা আন্দোলন নিয়ে কর্মসূচি করে। অনুমতিও নেওয়া ছিল'।
মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা, 'দরকার হলে পুলিশের সঙ্গে কথা বলত। পুলিশ আমাদের পার্টির সঙ্গে কথা বলে আমাদের প্যান্ডেল খুলে দিতে পারত। আমরাই খুলে দিতাম, আমরা অন্য জায়গায় শিফ্ট করতে পারতাম'। তাঁর কথায়, 'আমি যখন এখানে আসছিলাম, প্রায় দুশোর মতো সেনা আমাদের দেখে ছুটে পালাচ্ছিল। আমি বললাম, কেন পালাচ্ছেন? আপনারা আমাদের বন্ধু। এটা আপনাদের পোশাক নয়, আপনারা বিজেপির পোশাক পরেছেন। দিল্লির কথা করেছেন। আমি সেনাকে দোষ দিচ্ছি না। বিজেপি পার্টিকে দোষ দিচ্ছি না'।