• শিক্ষামিত্ররা কাজ করতে পারবেন ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত, রায় সুপ্রিম কোর্টের
    ২৪ ঘন্টা | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • অর্নবাংশু নিয়োগী: বড় স্বস্তি শিক্ষামিত্রদের। তাঁরা কাজ করতে পারবেন ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত। সোমবার এমনটাই জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাত্ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সর্বোচ্চ আদালত। কলকাতা হাইকোর্ট ওই রায় দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয় কুমার গুপ্তা।

    উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে শিক্ষা মিত্রদের নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। ২০১৩ সালে তাদের স্বেচ্ছাসেবক বলে ঘোষণা করে রাজ্যে। কিন্তু ২০১৪ সালে তাদের ভাতা বন্ধ করে ৬০ বছরের আগেই অবসর নেওয়ার কথা বলে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশকে চ্য়ালেঞ্জ করে শিক্ষামিত্ররা হাইকোর্টে যান। ২০২৩ সালে রাজ্য সরকারের সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেন হাইকোর্টের বিচারপতি  রবীন্দ্রনাথ সামন্তের বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। ২০২৫ সালে সেই রায় বহাল রাখে ডিভিশন বেঞ্চ। 

    এদিকে, ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য় সরকার। সেই মামলার রায় দিয়ে গিয়ে আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বলেন, একমাত্র আমাদের এখানেই শিক্ষকদের কোনও সম্মান দেওয়া হয় না। ধরে নেওয়া হয় আর পাঁচটা চাকরির মতো তারাও চাকরি করছেন। তাদের অপমান করা হয়, শোষণ করা হয়। একজন ব্য়ক্তি ২০০৪ সাল থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন। তাঁকে কেন স্থায়ী করা হল না? শিক্ষাবন্ধু, শিক্ষামিত্র, স্পেশাল এডুকেটর, স্বেচ্ছাসেবক--এসব কী!

    শিক্ষামিত্ররা মূলত সার্কেলস্তরে স্কুল ইন্সপেক্টরের অফিসে কাজ করে থাকেন। কাজের অনেকটা দায়িত্ব থাকে তাঁদের উপরই। যেমন স্কুল থেকে তথ্য নেওয়া, স্কুলব্যাগ, জুতো ইত্যাদি বিতরণের মতো কাজ করে থাকেন তাঁরা। এককথায় বলতে গেলে স্কুলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখাই হচ্ছে এঁদের প্রধান কাজ। এছাড়াও পিছিয়েপড়া এবং স্কুলছুট ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে ফেরানো। ওই সব পড়ুয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব শিক্ষামিত্রদের উপর।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)