সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চিন সফর নিয়ে আবারও তোপ দাগল কংগ্রেস। ভারত-চিন সখ্যতা বোঝাতে ‘হাতি-ড্রাগনের নাচ’ কথাটি ব্যবহার করছে বিশ্লেষক মহল। সেই উদাহরণ টেনেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের খোঁচা, আসলে ড্রাগনের কাছে নতজানু হয়ে আত্মসমর্পণ করছে হাতি। সেকারণেই অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন চিন-পাকিস্তান ‘পার্টনারশিপ’ নিয়েও নীরব মোদি।
সোমবার এসসিও সম্মেলনের প্লেনারি সেশনে নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধোনা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমাদের স্পষ্টভাবে এবং সর্বসম্মতভাবে বলতে হবে যে সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে কোনও দ্বিচারিতা গ্রহণযোগ্য নয়। কিছু দেশের প্রকাশ্যে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। আমাদের একসঙ্গে সবরকমের সন্ত্রাসবাদের বিরোধিতা করতে হবে। মানবতার প্রতি এটা আমাদের কর্তব্য।”
এই বক্তৃতার পরেই মোদিকে বিঁধে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন জয়রাম। তাঁর মতে, ‘দীর্ঘদিন ধরেই সন্ত্রাসবাদ নিয়ে চিনের দ্বিচারিতা নিয়ে সরব হয়েছে ভারত। কিন্তু এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলছেন ভারত এবং চিন দুই দেশই সন্ত্রাসবাদের শিকার। এটাকে যদি ড্রাগনের সামনে হাতির আত্মসমর্পণ না বলা হয়, তাহলে আর কী বলব?’ মোদিকে বিঁধতে গিয়ে ‘কোটোইং’ শব্দটির উল্লেখ করেছেন জয়রাম রমেশ। এই শব্দটি আসলে চিনের একটি প্রথা, যেখানে কারোওর সামনে নতজানু হতে হয়।
কংগ্রেস নেতা আরও বলেন, ‘আত্মসমর্পণের থেকেও দেশবিরোধী আচরণ করেছেন মোদি। অপারেশন সিঁদুরের সময়ে পাকিস্তানের সঙ্গে চিনের যুগলবন্দি ছিল। ভারতের সেনাকর্তারাও সেটা বলেছেন। কিন্তু শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে এই নিয়ে মোদি একটা শব্দও উচ্চারণ করেননি।’ জয়রামের তোপ, ৫৬ ইঞ্চি ছাতি একেবারে ফাঁপা। উল্লেখ্য, মোদি-জিনপিং বৈঠক নিয়ে রবিবারও তোপ দেগেছিল কংগ্রেস।