কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে অবিশ্বাস দুর্ভাগ্যজনক: সুপ্রিম কোর্ট
প্রতিদিন | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনী নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ‘অবিশ্বাসের বাতাবরণ’ তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা ‘দুর্ভাগ্যজনক’, বলল সুপ্রিম কোর্ট। ভোটার তালিকায় নাম না থাকা ব্যক্তিদের আবেদনের কমিশন নির্ধারিত সময়সীমা বৃদ্ধি করতে আবেদন করা হয়েছিল অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্র্যাটিক রিফর্মসের তরফে। বিচারপতি সুর্যকান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর বেঞ্চ শুনানিতে জানিয়েছে, এই বিষয়ে আপত্তি জানানোর শেষ তারিখ ১ সেপ্টেম্বর হলেও তারপরও আবেদন গ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, নির্বাচন কমিশনকে স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করবে। এমনটাই চিরকালীন দস্তুর। দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠামো নির্মাণের দায়িত্বও তাদেরই কাঁধে। কোনও আর্জি নিয়ে বিরোধীরা কমিশনের দ্বারস্থ হলে বিষয়টিতে আধিকারিকরা নজর দিতেন। যদিও বিগত কয়েক বছরে ছবিটা অনেকটাই বদলেছে। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকায় মোটেও খুশি নয় বিরোধীরা। উল্লেখ্য, ২০২৪ লোকসভা ভোটের সময়ও এই নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। সাম্প্রতিক কালে বিহারে এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধনী শুরু হওয়ার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সংঘাত চরমে উঠেছে। ভোটার তালিকা সংশোধনের প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা রয়েছে অভিযোগ বিরোধীদের। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির হয়ে কাজ করছে কমিশন। সরাসরি এমনই অভিযোগে সরব হয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের নেতারা। বিরোধীদের বক্তব্য খণ্ডন করেছেন নির্বাচনী আধিকারিকরাও, যাকে বিশ্লেষকদের একাংশ বলছে, আদপে কমিশন বিজেপির মুখপাত্রের মতো ব্যবহার করছে। নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে এই বিশ্বাসের অভাবকে দুঃখজনক বলেই মনে করছে সুপ্রিম কোর্ট।
বিহারে ভোটার তালিকায় নাম নথিভুক্তির আবেদনের সময় বাড়ানো নিয়ে নির্বাচন কমিশন আগেই জানিয়েছিল, সময়সীমা বাড়ালে ভোটার তালিকা চুড়ান্ত করার সময়সূচি বিঘ্নিত হবে। এতে প্রক্রিয়াটি অহেতুক দীর্ঘায়িত হবে। যদিও এস আই আর পদ্ধতিতে যথেষ্ট স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে আপত্তি জানিয়ে সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অ্যাসোসিয়েশন ফর ড্রেমোক্র্যাটিক রিফর্মস। তারই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, ১ সেপ্টেম্বরের পরও আবেদনপত্র গ্রহণ করবে কমিশন। কমিশন যেহেতু নির্বাচন মনোনয়নের শেষ তারিখ পর্যন্ত আপত্তি গ্রহণ করবে এবং সব অন্তর্ভুক্তি/বর্জন চূড়ান্ত তালিকায় সংযুক্ত হবে, তাই দাবি/আপত্তি/সংশোধন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে।