কোদাল নিয়ে আচমকা হামলা, সাতসকালে মালদহে দেওরের হাতে ‘খুন’ বউদি!
প্রতিদিন | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাবুল হক, মালদহ: সাতসকালে দেওরের হাতে ‘খুন’ বউদি। সোমবার সাতসকালে রক্তারক্তি কাণ্ড মালদার হবিবপুর থানার মঙ্গলপুরা অঞ্চলের পিড়াল গাড়িয়া গ্রামে। অভিযুক্তকে ধরে প্রতিবেশীরা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধারের পাশাপাশি মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে হবিবপুর থানা।
ঠিক কী ঘটেছে? সকালে উঠে জমিতে কাজে চলে গিয়েছিলেন পিড়াল গাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা নায়েব কিস্কু। হঠাৎ খবর পান, বাড়িতে কিছু একটা ঘটেছে। তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হন তিনি। দেখেন, বাড়ি লাগোয়া পুকুর পাড়ে তার স্ত্রী সুনীতা মুর্মু গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। তাঁর ভাই সঞ্জীব কিস্কুকে গ্রামবাসীরা বাড়ির বারান্দায় খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। ব্যাপারটা কী ঘটেছে, তা জানতে চান নায়েব। জানতে পারেন, সকালে আচমকাই কোদাল নিয়ে তাঁর ভাই স্ত্রীর ঘাড়ে, পিঠে আঘাত করতে থাকে। তাতে রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন বছর চব্বিশের সুনীতা।
কী কারণে সঞ্জীব কিস্কু এমন কাণ্ড ঘটালেন, সে ব্যাপারে গ্রামবাসীরা কিছুই জানাতে পারেননি। তবে এভাবে তাঁকে আক্রমণ করতে দেখে সঞ্জীবকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির বারান্দার খুঁটিতেই বেঁধে রাখেন তাকে। খবর পাঠানো হয় নায়েবকে। তিনি ছুটে এসে স্ত্রীকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন। নিয়ে যান বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে হবিবপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। খুঁটিতে বেঁধে রাখা অভিযুক্ত সঞ্জীবকে গ্রেপ্তার করে। কেন সে বউদির উপর এভাবে হামলা চালাল, তাকে জেরা করে তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।