• ‘ক্ষমতা থাকলে নিজের ছেলেদের চাকরি করিয়ে দিতাম’, দুর্নীতিতে নাম জড়াতেই বলছেন তৃণমূল নেতা
    প্রতিদিন | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সুমন করাতি:  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ্যে এনেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। আর তা ঘিরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। তালিকায় নাম রয়েছে পোলবার সেঁইয়া গ্রামের বাসিন্দা কপিল কুমার মিস্ত্রির। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা অজিত ঘোষকে মোটা টাকার বিনিময়ে সেই চাকরি পান কপিল। অজিত ঘোষ তৃণমূলের পোলবা দাদপুর ব্লক সম্পাদক ও পোলবা দাদপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ। যদিও তাঁর নাম সামনে আসতেই তৃণমূল নেতার দাবি, ”এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। আমার ক্ষমতা থাকলে নিজের ছেলেদের চাকরি করিয়ে দিতাম।”

    আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর নতুন নিয়োগের জন্য পরীক্ষা হতে চলেছে। তার আগেই অযোগ্যদের তালিকা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে প্রকাশ করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই নির্দেশ মেনেই গত শনিবার সেই তালিকা প্রকাশ হয়। দেখা যায়, তালিকায় একাধিক শাসকনেতার এবং শাসক ঘনিষ্ঠের নাম রয়েছে। যদিও সবাই নিজেকে যোগ্য বলেই দাবি করেছেন। এমনকী এসএসসির প্রকাশিত তালিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এসএসসির প্রকাশ করা অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকায় ৬১৩ নম্বর সিরিয়ালে নাম রয়েছে কপিলের।

    নাম সামনে আসতেই ‘নিখোঁজ’ তিনি। এলাকায় আর দেখা যাচ্ছে না। পরিবারের দাবি, ”কপিল বাড়ি নেই। অনেকদিন হল বেড়াতে গিয়েছে।” এমনকী ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কপিলকে পাওয়া যায়নি। এক প্রতিবেশী প্রদীপ দেশী জানিয়েছেন, ”২০২২ সালে কপিল স্কুলে চাকরি পেয়েছিল। এজন্য তৃণমূলের পোলবা দাদপুর ব্লক সম্পাদক ও পোলবা দাদপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ অজিত ঘোষকে টাকা দিয়েছেন।” শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেতার হাত ধরে এলাকার অনেকেই চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।

    যদিও এহেন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন অজিত ঘোষ। তৃণমূল নেতার দাবি, ”দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলাম। আমার টাকা নেওয়ার দরকার নেই, দেওয়ারও নেই। আমার ছেলেরা বেকার বসে আসে। ক্ষমতা থাকলে নিজের ছেলেদের চাকরি করিয়ে দিতাম।” ব্যক্তিগত রাগ থেকে ওই প্রতিবেশী তাঁর নাম নাম বলা হচ্ছে বলেও দাবি অজিতবাবুর। যদিও কপিল কুমার মিস্ত্রির পরিবারের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ যে আছে, তা মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতা। এক্ষেত্রে তাঁর যুক্তি, ”আমার সঙ্গে কপিলের কোন সম্পর্ক নেই। ওদের পারিবারিক কামারের ব্যবসার সূত্রে সম্পর্ক। আমরা চাষী তাই বিভিন্ন চাষের কাজের জিনিস লাগে তা তৈরি করতে দিই।”  
  • Link to this news (প্রতিদিন)