অর্ণব আইচ ও সঞ্জিত ঘোষ: কৃষ্ণনগর কাণ্ডে নয়া মোড়। ধৃত দেশরাজ সিংয়ের বাবা রঘুবিন্দরপ্রতাপ সিংয়ের বিরুদ্ধেও জারি হল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। শুধু তাই নয়, রাজস্থানের জয়সলমেঢ়ে কৃষ্ণনগর পুলিশের একটি দল রওনা দিয়েছে। আজ সোমবার ভোরেই উত্তরপ্রদেশের গোপন ডেরা থেকে অভিযুক্ত দেশরাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ট্রানজিট রিমান্ডে আজই সম্ভবত কলকাতায় নিয়ে আসা হতে পারে তাঁকে। এর মধ্যেই এবার ধৃতের বাবার বিরুদ্ধেও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ছেলেকে আড়াল করার চেষ্টা করেন বাবা রঘুবিন্দরপ্রতাপ সিংও।
কৃষ্ণনগর কাণ্ডে রবিবারই গুজরাটের জামনগর থেকে দেশরাজের মামা কুলদীপ সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার পর অভিযুক্ত দেশরাজকে নিরাপদ আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পালানোর পথও কুলদীপ ছকে দিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁকে জেরা করেই দেশরাজের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। এরপরেই উত্তরপ্রদেশের একটি গোপন ডেরা থেকে দেশরাজকে এদিন সকালে গ্রেপ্তার করা হয়।
অন্যদিকে জয়সলমেঢ়ের বিএসএফ শিবিরে কর্মরত দেশরাজের বাবা। পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালতের অনুমতি নিয়েই রাজস্থানে গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ঈশিতাকে খুনের পর খোঁজ মিলছিল না দেশরাজের। সেই সময় সংবাদমাধ্যমের পক্ষ থেকে তাঁর বাবা রঘুবিন্দর সিংকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, ”তিনি ছেলের পাশে নেই। কড়া শাস্তি চান।”
কিন্তু পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,”বাবার বক্তব্য ও ভূমিকায় কিছু অসঙ্গতি রয়েছে।” এমনকী খুনের ঘটনার পর বাবার সঙ্গে দেশরাজের যোগাযোগ ছিল, এমন কিছু ইঙ্গিতও পান পুলিশ আধিকারিকরা। এমনকী, কৃষ্ণনগর থেকে তিনি ছেলেকে পালানোর ব্যাপারে মদত করেন বলে পুলিশের সন্দেহ। ছেলেকে আড়াল করার ব্যাপারে রঘুবিন্দর সিং তাঁর শ্যালক কুলদীপের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ কলে যোগাযোগ রাখছিলেন বলেও অভিযোগ।