সন্দীপ চক্রবর্তী: বিধায়ক বা মন্ত্রীদের নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ‘নো এন্ট্রি’। কেউ আর অস্ত্র নিয়ে বিধানসভার ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আগে এই নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। সেকথা মেনে সোমবার রাজ্য বিধানসভার দরজায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
ঘটনার সূত্রপাত গত বছরের আগস্টে। বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেন পদ্মশিবিরের বিধায়করা। অভিযোগ, চিঠি পাওয়ার পরেও নিরাপত্তার কোনওরকম বন্দোবস্ত করেননি স্পিকার। তাই কলকাতা হাই কোর্টে মামলা রুজু করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, বিধানসভার ভিতরে তৃণমূল বিধায়করা নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে অনায়াসে ঢুকতে পারেন। বিজেপি বিধায়কদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন ঢুকতে পারবেন না বিধানসভায়, সে প্রশ্ন তোলেন হাই কোর্টে।
গত বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি ছিল। বিধানসভায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধায়কদের প্রবেশের ক্ষেত্রে সমান নিয়ম করা হোক বলেই জানান বিচারপতি। সোমবার বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, কেউ আর নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না। তিনি বলেন, “কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কারও নিরাপত্তারক্ষী বিধানসভার অন্দরে ঢুকতে পারবেন না।” এই মর্মে একটি নোটিস সোমবার বিধানসভার গেটে টাঙিয়ে দেওয়া হয়। নয়া এই নির্দেশিকার বিরোধিতা করেছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “মুখ্যমন্ত্রী রক্ষী নিয়ে বিধানসভায় ঢুকলে কলকাতা হাই কোর্টে যাব। স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করব।”