ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্য়োপাধ্যায়: ভাষা সন্ত্রাসের প্রতিবাদে মেয়ো রোডে তৃণমূলের ধরণা কর্মসূচিতে বাধা সেনার। আচমকা মঞ্চ খুলে নেওয়ার খবর পেয়ে ছুটে যান খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকেই মঞ্চ খোলার প্রতিবাদে কর্মসূচির ডাক দিলেন মমতা। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাজ্যের প্রতি জেলার, প্রতি ওয়ার্ড, প্রতি ব্লকে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
ভিনরাজ্যে বাংলায় কথা বললে বাংলাদেশি সন্দেহে অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। পথে নেমে আন্দোলনে শামিল হয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা-সহ বোলপুর, ঝাড়গ্রাম-সহ একাধিক জেলায় মিছিল করেন তিনি। ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের পুনর্বাসনে ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পও চালু করেছে রাজ্য সরকার। ভিনরাজ্য থেকে বাংলায় ফেরা শ্রমিকদের জন্য এক বছর ৫ হাজার টাকা করে অনুদানও ঘোষণা করা হয়। এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শনি এবং রবিবার-সপ্তাহে দু’দিন করে ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশে রিলে অবস্থান করছিলেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। সেখানেই তৈরি করা হয়েছিল ‘ভাষা আন্দোলন’ মঞ্চ।
সোমবার আচমকা সেনাবাহিনীর জওয়ানরা মেয়ো রোডে পৌঁছয়। সভামঞ্চে খুলে ফেলে সেনা। ছুড়ে ফেলা হয় ত্রিপল। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “সেনাবাহিনীর দোষ নেই। তারা আমাদের বন্ধু। বিজেপির কথায় তাঁরা এই কাজ করেছে। বিজেপি সেনাকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করছে।” কেন তৃণমূলকে না জানিয়ে সেনার এই কাজ? সেই প্রশ্ন তুলে মমতার বক্তব্য, “আপত্তিজনক কিছু থাকলে আমরা নিজেরাই মঞ্চ খুলে দিতাম।” গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ঘটনাস্থল থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা। জানান, আগামিকাল রাজ্যের সমস্ত স্তরে তৃণমূলের নেতা, কর্মী, সমর্থকরা প্রতিবাদ মিছিলে শামিল হবেন। এর পাশাপাশি ‘ভাষা আন্দোলনে’র মঞ্চ সরিয়ে রানি রাসমণি রোডে নিয়ে যাওয়ার কথাও জানালেন। মঙ্গলবার থেকে সেখানেই চলবে ধরনা।