• কার হাত ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়? ম্যাজিক মোমেন্টসের ১৫ বছরের উদযাপনে কী জানালেন লেখিকা,পরিচালক
    আজকাল | ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে ১৫ বছর আগে শুরু হয়েছিল প্রযোজনা সংস্থা ম্যাজিক মোমেন্টসের যাত্রা। এই যাত্রাপথের সঙ্গী বহু তারকারা। এদিন, ম্যাজিক মোমেন্টসের উদযাপনের সাক্ষী ছিলেন বহু তারকারা‌। এক সময় টেলিভিশনের পর্দায় যাঁদের দেখে দর্শক নিজের পরিবারের সদস্যের জায়গা দিয়েছিলেন, তাঁদের আবারও পুনর্মিলন হল এই অনুষ্ঠানে।‌

    ১৫ বছরের পর চলায় বাংলা হিন্দি মিলিয়ে প্রায় ৪০টি ধারাবাহিক রয়েছে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ঝুলিতে। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রথম থেকে সেই জার্নির ঝলক দেখানো হল। নস্টালজিয়ায় ভাসলেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। এদিন, কলকাতার মুভিটোন স্টুডিওতে আয়োজিত হয়েছিল এই অনুষ্ঠান।‌ সেখানেই গানে-গল্পে-আড্ডায় জমেছিল ম্যাজিক মোমেন্টস ও লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ১৫ বছরের টেলিভিশনের পথ চলার উদযাপন।

    ধারাবাহিক ‘বিন্নি ধানের খই’ দিয়ে যাত্রা শুরু। ছোটপর্দায় লীনা-শৈবালের প্রযোজনা সংস্থা ম্যাজিক মোমেন্টসের রাজত্ব ১৫ বছর ধরে। একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিক উপহার দিয়েছেন তাঁরা। যেমন, ‘ইচ্ছে নদী’, ‘ফাগুন বউ’, ‘কেয়াপাতার নৌকো’, ‘জলনূপুর’, ‘শ্রীময়ী’, ‘মোহর’, ‘দেশের মাটি’, ‘খড়কুটো’, ‘গুড্ডি’। এই প্রযোজনা সংস্থার সাম্প্রতিক ধারাবাহিক ‘চিরসখা’ও একইরকম জনপ্রিয়।

    এদিনের অনুষ্ঠানের সাক্ষী ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, অনসূয়া মজুমদার, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, শঙ্কর চক্রবর্তী, সুরজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাদশা মৈত্র, ঋতা দত্ত চক্রবর্তী, মালবিকা সেন, অপরাজিতা ঘোষ দাস, বিক্রম চট্টোপাধ্যায়, লাভলি মৈত্র, মানালি দে, শ্রুতি দাস, দিব্যজ্যোতি দত্ত, রাজন্যা মৈত্র, ইন্দ্রাশিস রায়, সুমন দে, কৌশিক রায় সহ আরও অনেকে। এসেছিলেন জি বাংলা চ্যানেলের দায়িত্বে থাকা সম্রাট ঘোষও।

    এদিনের অনুষ্ঠানে লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানালেন বিনোদন দুনিয়ায় তাঁকে এনেছিলেন চিকিৎসক গৌতম সাহা। একবার বিজ্ঞাপনের শর্ত হিসেবে লীনাকে লেখার দায়িত্ব দেন তিনি। প্রথমে রাজি না থাকলেও পরে এই কাজে সম্মতি দেন লীনা। এরপর আর যাত্রা থেমে থাকেনি। ১৫ বছর পাড় করে আরও এগিয়ে চলছে ম্যাজিক মোমেন্টস। এদিন গৌতম সাহা চিত্রনাট্যকার-পরিচালক লীনার সমৃদ্ধি দেখে আপ্লুত।

    এদিন শুধু গান-গল্প আর আড্ডাতেই সীমাবদ্ধ ছিল না অনুষ্ঠান। আসর জমাতে ছিল ঠাণ্ডা ঘোল, চিকেন ফিঙ্গার, চা ও কফি। এখানেই শেষ নয়, সঙ্গে ছিল লুচি, ছোলার ডাল, ধোকার ডালনা, বেগুন ভাজা। এরপর ছিল সাদা ভাত, সর্ষে ইলিশ, ঘি ভাত, মাটন কষা, আমের চাটনি, পাঁপড়, পান্তুয়া, দই ও শেষ পাতে পান। সব মিলিয়ে একেবারে জমজমাট আয়োজন।
  • Link to this news (আজকাল)