অ্যাটম বোমার পর এবার হাইড্রোজেন বোমা! কর্ণাটকের মহাদেবপুরায় ‘ভোট চুরির’ পর্দা ফাঁস করে সেটাকে ‘অ্যাটমবোম’ বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এবার পাটনায় দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন হাইড্রোজেন বোম ফাটানোর। দেশে বিজেপি-নির্বাচন কমিশনের ভোট চুরির আরও প্রমাণ দেওয়া হবে বলে দাবি করলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর বক্তব্য ভোট চুরির এই ‘হাইড্রোজেন বোম’ ফাটলে নরেন্দ্র মোদির মুখ লুকানোর জায়গা থাকবে না। সোমবার বিহারের পাটনায় ভোটার অধিকার যাত্রার শেষ দিনে ইন্ডিয়া জোটের শীর্ষ নেতারা হাজির হয়েছিলেন। গান্ধী ময়দান থেকে যাত্রা শুরু হয়। শেষ হয় বি আর আম্বেদকর পার্কে। বিহারে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ সরকারের পতনের ডাক দেন জোটের নেতারা। বিজেপি-কমিশনের যোগসাজশ নিয়ে সরব হন তারা।
এদিনের কর্মসূচি থেকে কংগ্রেস সভাপতি দাবি করেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে বিহারে সরকার পরিবর্তন হবে। তাঁর কথায়,‘ডবল ইঞ্জিন সরকার ৬ মাস পর থাকবে না। নতুন সরকার হবে গরিবের সরকার। মহিলা, দলিত, আদিবাসীদের সরকার হবে।’ আরজেডি প্রধান তেজস্বী যাদবও বিহারের পরিবর্তনের ডাক দেন। তাঁর বক্তব্য, নকল মু্খ্যমন্ত্রী নয়, বিহার চায় আসল মুখ্যমন্ত্রী। বিহারের এনডিএ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে নিশানা করেন খাড়গে। দাবি করেন, একসময় নীতীশ সোশ্যালিষ্টদের হয়ে কথা বলতেন। গোটা দেশে ঘুরে ঘুরে লোহিয়া, জর্জ ফার্ন্ডার্ডেজদের গুনগান করতেন।
এখন কোথায় গেল তাঁর সোশ্যালিষ্ট বিচার! বলেন, ‘এখন আরএসএসদের ঝুলিতে গিয়ে পড়েছেন। আরএসএস আপনাকে আবর্জনার স্তুপে ফেলবে। বিহারে ভোট চুরি করে জেতার চেষ্টা করছে। সেটা করতে দেওয়া হবে না। বিহারের ভোটাধিকার যাত্রা গোটা দেশেই চর্চার কেন্দ্রে এসেছে’। তাঁর সাফ বক্তব্য এসসি, এসটি-দের জন্য কংগ্রেসের লড়াই জারি থাকবে। এদিনের যাত্রায় তৃণমূলের তরফে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ ইউসুফ পাঠান, ললিতেশ ত্রিপাঠী। গান্ধী ময়দানের পাশাপাশি বি আর আম্বেদকর পার্কের সভায় উপস্থিত ছিলেন। এদিন তেজস্বী যাদব, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
তাদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। এদিনের সভায় হেমন্ত সোরেন বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন। দাবি করেন, বিজেপি সরকার অর্থ, পেশি শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে। পাশাপাশি ইডি, সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলিকে বিরোধীদের বিরুদ্ধে কাজে লাগিয়েছে। বিহার ও দেশ থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। আগামী দিনে বিহারের নির্বাচন গোটা দেশের দিশা ও দশা বদলে দেবে। তেজস্বী যাদবের অভিযোগ, ডবল ইঞ্জিন সরকার। একটি হল অপরাধের, আরেকটি দুর্নীতির। তাঁর প্রশ্ন মোদি-নীতীশ কোন মুখে দুর্নীতির কথা বলেন? বিহারের ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। দুর্নীতির খেলা চলছে। লালুপুত্রের দাবি, ‘মোদিজি হলেন ঝুট কি ফ্যাক্টরি, মিথ্যার ডিস্ট্রিবিউটার, হোলসেলার’।