• ১৫ বছরে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হিমাচলে, মৃত অন্তত ৩০০
    বর্তমান | ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • সিমলা: লাগাতার বৃষ্টি, হড়পা বান, ধস! প্রকৃতির তাণ্ডবে তছনছ হিমাচল প্রদেশ। আবহাওয়া দপ্তরের হিসাব বলছে, ২০২৫ সালের আগস্টে গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বাধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে এখানে। পরিমাণ ৪৪০ মিলিমিটার। চলতি বছরের জুন থেকে বৃষ্টিজনিত দুর্ঘটনায় হিমাচলে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০০ জনের। ভেসে গিয়েছে একাধিক বহুতল হোটেল, বাড়ি, রাস্তা, ব্রিজ। ক্ষতি হয়েছে ৩ লক্ষ কোটি টাকার।  

    সিমলা, কুলু-মানালি সহ হিমাচলের একাধিক জায়গা পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের ঠিকানা। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে পর্যটকরা আসেন। আসন্ন দুর্গাপুজোতেও অনেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন হিমাচলে ঘুরতে যাওয়ার। সবকিছু ভেস্তে দিয়েছে বৃষ্টি। অবস্থা এতটাই শোচনীয়, হিমাচলে আটকে পড়া পর্যটকরা কোনওক্রমে প্রাণ হাতে নিয়ে ফিরতে পারলে বাঁচেন। তবে এখনও বৃষ্টি থামার নামগন্ধ নেই। ক্রমেই বেড়ে চলেছে বিভিন্ন নদীর জলস্তর। এখনও সারানো যায়নি সমস্ত রাস্তা। কাজেই উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। আবহাওয়া দপ্তর লাল সতর্কতা জারি করেছে একাধিক জেলায়। প্রায় সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আবহাওয়া দপ্তরের হিসাব বলছে, উনা জেলায় বৃষ্টিপাতের (৮২৩.৬ মিলিমিটার) রেকর্ড হয়েছে। এরপরেই রয়েছে কাংড়া (৮১৬ মিলিমিটার) এবং মাণ্ডি (৬৮১.৫ মিলিমিটার)। নিরাপত্তার খাতিরে স্থগিত রাখা হয়েছে চম্বা জেলার মনিমহেশ যাত্রা। ইতিমধ্যেই তীর্থযাত্রীদের নিরাপদে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় উদ্ধার চালাচ্ছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। 

    প্রায় একই অবস্থা উত্তরাখণ্ডের। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি জানিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিপর্যস্ত এলাকা থেকে অবিলম্বে সকলকে নিরাপদে সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আলমোড়া, নৈনিতাল, উধম সিং নগর এবং চম্পাওয়াতে জারি হয়েছে লাল সতর্কতা। রাজ্যের অন্যান্য জেলাগুলিতেও কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। এদিকে, লাগাতার বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাঞ্জাব। আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অবধি প্রায় সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। গুরুদাসপুর, হোশিয়ারপুর, জলন্ধর, পাতিয়ালায় লাল সতর্কতা, এবং অন্যান্য জায়গায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। -পিটিআই
  • Link to this news (বর্তমান)